‘আমরা বারবার তাকে বলছিলাম সাবধানে চালাতে’

|

মুন্সিগঞ্জের ষোলঘরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার শিকার ওই যাত্রীবাহী বাসটিতে ছিলেন একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। যাদের মধ্যে মা ও দুই শিশুসহ আহত হয়েছে তিনজন। বাবা ও এক কন্যা অক্ষত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন- সাদিয়া (৩৫) এবং তার দুই মেয়ে সাফা (১১) ও সামিয়া (৭)।

আহত সাদিয়ার স্বামী সুলতান বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের একটি বাসে আমরা উঠেছিলাম। চালক বাসটি বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিলেন। আমরা বারবার তাকে বলছিলাম সাবধানে চালাতে। কিন্তু তিনি শুনেননি।

তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের পাঁচ সদস্যের মাঝে শিশু ফারিহা (৩ মাস) এবং আমি অক্ষত আছি। আমার মেয়ে সামিয়ার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরেক মেয়ে সাফা এবং আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই গুরুতর। আল্লাহই জানেন বাঁচবে কিনা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমার ছোট মেয়ের অবস্থা গুরুতর। স্ত্রী ও আরেক মেয়েও শঙ্কামুক্ত নয়।

সুলতান জানান, পরিবারের পাঁচজন ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া যাচ্ছিলেন তারা। পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন। চালককে বারবার বলার পরও তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন আমাদের এখানে এসেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply