রোদ-দাবদাহ উপেক্ষা করেই সড়কপথে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

|

সকল কর্মব্যস্ততা শেষ। এবার আপন জনের কাছে ফেরার পালা। তাইতো তপ্ত রোদ আর দাবদাহ উপেক্ষা করেই সড়ক পথে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালীসহ রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরে ফেরা মানুষের কিছুটা চাপ দেখা যায়। যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কমে যায়। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনের শুরুতে রাজধানী থেকে বের হওয়ার মূল সড়কে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। তাইতো আপন নীড়ে ফিরতে সেহরির পর থেকেই মানুষ রওনা হয় গন্তব্যে। স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে সড়কপথে তীব্র গরম উপেক্ষা করে সবাই নাড়ীর টানে ছুটছেন বাড়ি।

সকালে সড়কে নেমেই ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তীব্র যানজট তৈরি হয় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আশপাশের সড়কে। এসময় অনেককে পায়ে হেঁটেও গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

রাজধানীর টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সকালে সড়ক পথে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ কমে যায়।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ এ পথের যাত্রীরা এখন ঢাকা ছাড়ছেন সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে। ফলে তুলনামূলক চাপ বেড়েছে এখানে। বরাবরের মত টিকিটের বাড়তি দাম আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।

অন্যান্য বছরের মতো এবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় খুব একটা নেই। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। গাবতলীতে বাসের টিকিট এক সময় সোনার হরিণ থাকলেও যাত্রীর অভাবে ফাঁকা সিট নিয়েও ছেড়ে গেছে কোনো কোনো বাস।

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা-গাজীপুর বাইপাস সড়কে সকাল থেকে খুব নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন। যদিও দুপুরের পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply