রাশিয়ার সামরিক অভিযানে বাখমুত ও পূর্বাঞ্চলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৬০ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে রুশবহর। বিপুল সংখ্যক গোলাও ছোড়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। অবশ্য, পাল্টা প্রতিরোধের মাধ্যমে সেগুলো নস্যাৎ করার দাবিও জানিয়েছে কিয়েভের। পশ্চিমাদের সমর্থন সত্ত্বেও রুশ বাহিনীর কাছে বাখমুতে ক্রমেই আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছে ইউক্রেন। অবশ্য শুরু থেকেই কিয়েভের দাবি, পশ্চিমা সহায়তা সময়মতো হাতে পাচ্ছে না ইউক্রেন। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, জাপান সমুদ্র উপকূলে অব্যাহত রয়েছে রাশিয়ার সামরিক মহড়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, মানচিত্রে নতুনভাবে অর্ন্তভুক্ত ৪টি অঞ্চলে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সংকট রয়েছে। এগুলো দ্রুত সমাধানে কর্মকর্তাদের তাগিদও দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
জাপানের দ্বীপ হোক্কাইডো উপকূলে এখন টহল দিচ্ছে রাশিয়ার ৮টি বোমারু বিমান। শক্তিশালী গোলা বা মিসাইল ছোড়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবশ্য, এ সবই শক্তিমত্তা প্রদর্শনের অংশ। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এ সামরিক মহড়া চলবে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত।
ক্রেমলিনের দাবি, স্থলপথের পাশাপাশি জলপথেও বাড়ানো হচ্ছে শত্রুদের রুখে দেয়ার সক্ষমতা। এ নিয়ে পুতিন বলেন, গণভোটের মাধ্যমে খেরসন ও লুহানস্ক অর্ন্তভুক্তির পর প্রশংসনীয় কাজ করছে এলাকাগুলোর প্রশাসন। তবে গুরুতর কিছু সংকট রয়েছে। যার অন্যতম হলো গুকোভো চেকপয়েন্ট। সেখানে ট্র্যাফিক জ্যাম লেগেই আছে। তবে সেগুলো সামরিক গাড়ি নয় বরং বেসামরিকদের পণ্যবাহী যানবাহন। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে নজর দেয়া উচিত। জাপান উপকূলে রুশবহরের মহড়াও তাক লাগানো। আমাদের একটাই লক্ষ্য, যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করবো শত্রুদের।
এর আগে, বুধবার বাখমুতসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য ৬০ দফা বিমান হামলা আর মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের বেশিরভাগই নস্যাৎ করা হয়েছে বলে দাবি জানাচ্ছে ইউক্রেনের।
ভোলদেমির জেলেনস্কির বক্তব্য, ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার চালানো ৬০ দফা বিমান হামলার অনেকটাই নস্যাৎ করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র। মাল্টিপল রকেট লঞ্চার থেকে দখলদাররা ৫৯ দফা গোলা ছুড়েছে। অবশ্য রুশ সেনাদল দাঁতভাঙা জবাব পেয়েছে বলে দাবি করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফ্রন্টলাইন কমান্ডারদের দাবি, একদিনেই প্রাণ গেছে ছয় শতাধিক সেনার।
এদিকে, বন্দর নগরী ওডেসায় আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ধ্বংস হয়েছে লোকালয়ের কয়েকটি স্থাপনা। ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর দাবি, সবগুলোই ইরানের নির্মিত কামিকাজে ড্রোন, যা মূলত ট্যাংক ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এসজেড/
Leave a reply