নয়া রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানালেন রাজনীতিবিদরা; গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা

|

মো. সাহাবুদ্দিন; পাবনা থেকে ঠাঁই করে নিয়েছেন বঙ্গভবনে। ছাত্রলীগের কর্মী থেকে বনেছেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় নতুন রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সবাই।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, উনার ব্যাপারে এখনও তো আমরা বলতে পারি না, নতুন এলেন। হামিদ সাহেব আগাগোড়া একজন রাজনৈতিক মানুষ ছিলেন। এক বছর আগে উনি আমাকে বলেছিলেন, দোয়া করবেন, আমি যেন সম্মানের সাথে বিদায় নিতে পারি। সেটা পূর্ণ হলো।

তিনি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এই রকম স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান এবারই প্রথম। আমরা উনার কাছ থেকে ভালো কিছুর আশা করবো। মনে করা হতে পারে, রাষ্ট্রপতির তেমন ক্ষমতা নেই। তারপরও দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে রাষ্ট্রপতির যথেষ্ট সুযোগ আছে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, তিনি রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। রাষ্ট্রের উচ্চ আসনে আছেন। তিনি আইন দ্বারা বিধৃত। সংবিধানে বিধৃত যে সকল ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বা ইনফ্লুয়েন্স করার যে ক্ষমতা, তিনি সেটা প্রয়োগ করবেন, আশা করছি।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, উনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। রাষ্ট্রের সার্বিক ভূ-খন্ড এবং এর ভেতরে যা কিছু আছে, সকল ক্ষমতা ও সম্পদের ঊর্ধ্বে উনি। সেই ক্ষমতার আসল মালিক হলেন জনগণ। তাই রাষ্ট্রের প্রতি সবার যে মালিকানা আছে, তা সবাই যেন ভোগ করতে পারে এবং রাষ্ট্র থেকে অধিকার সবাই যেন সমানভাবে পায়, এজন্য উনি কিছু করবেন বা দৃষ্টি দেবেন আমরা তা আশা করছি। সামনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক দায়িত্বে আছে। সরকার সহযোগী হিসেবে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু করার দায়িত্বে আছে। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হলো, নির্বাচন যাতে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ হয়, এজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদটি জাতির প্রধান পদ। সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব বর্তায়। সুতরাং আগামী নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়, সেটি উনি দেখবেন বলে আমি আশা করি। ইতোমধ্যে তিনি বলেছেন, বঙ্গভবন ও রাষ্ট্রপতি পদের পদমর্যাদা রক্ষা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, তিনি সে ব্যবস্থা করবেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, স্বাভাবিক কারণেই সাবিংধানিক ধারা যেহেতু অব্যাহত আছে, সেহেতু এ রকম আনন্দঘন পরিবেশে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নিলেন। একসময়কার রাজনৈতিক কর্মী এখন রাষ্ট্রপতি। স্বাভাবিক কারণেই আমরা আশা করি, বাংলাদেশে এখন সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত আছে, তা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ, আশা করি সেই সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমানে যে ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, তাতেও বর্তমান রাষ্ট্রপতির ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply