গ্যাসের গন্ধ ছড়ানোর বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিতাসের গ্যাস লাইনে লিকেজের ঘটনায় ছড়ায় আতঙ্ক। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গ্যাস লাইনে লিকেজের এ ঘটনার পর মগবাজার, ইস্কাটন, গ্রীন রোড, পূর্ব রাজা বাজার, মহাখালী, আজিমপুর, ধানমন্ডি, মালিবাগ, বাড্ডা, মুগদাসহ কিছু এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত আনুমানিক ১০:৩০ হতে ১১:০০ টার মধ্যে ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, বেইলি রোডসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিতাস গ্যাসের ১৪টি ইমার্জেন্সি টিম এ সকল এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। একই সাথে, যে সমস্ত ডিসট্রিক্ট রেগুলেটিং স্টেশন (ডিআরএস) এর মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে, সে সকল ডিআরএস থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে শিল্পকারখানা বন্ধ থাকাসহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ লাইনে চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ লাইনে চাপ স্বাভাবিক রয়েছে এবং গ্যাসের সরবরাহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে গ্যাস ও গ্যাসের চুলা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘গ্যাস লিকেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, চুলা জ্বালাতে সমস্যা নেই’

/এম ই