জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোট বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। তবে নিবন্ধিত দলগুলোর চার-পঞ্চমাংশের ভোটে অংশগ্রহণ না করায় ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ না থাকলে সেটিকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বলা যায় না। দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও বিরোধী দলের দায়িত্ব রয়েছে বলেও মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
দেশের বড় শহরগুলোর নগরপিতা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন জমা শেষ হয়েছে গাজীপুরে। নিবন্ধিত ৩৯ দলের মধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আগ্রহ দেখিয়েছে কেবল ৫টি। নির্বাচনে আংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো। বিশিষ্টজনরা বলছেন, ভোটের হার কম হলে তাকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যায় না।
এ নিয়ে ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, ভোটাররা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন। ১৫-২০ শতাংশও যদি ভোট পড়ে, তবুও ধরে নিতে হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে এখানে ভোটারও নেই, দলগুলোও নেই।
ভোটের হার যত অল্পই হোক এমনকি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হলেও দেশের আইনে বাধা নেই। তবে দেশের উন্নয়ন কিংবা গণতন্ত্রের বিকাশে কোনো অন্তরায় আছে কি? এ নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তেমনটি হতে থাকলে জনগণের সম্মতির শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। নির্বাচনের অর্থই হলো, জনগণ তাদের কল্যাণে কাজ করবে এমন একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তবে এমন হতে থাকলে প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া জনগণের সম্মতি অনুযায়ী হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ সিটির ভোট ইসি ও দলের জন্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেখেন কেউ কেউ। আর তাই ভোটকে উৎসবে পরিণত করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
জুনে শেষ হচ্ছে দলীয় প্রতিকের সিটি নির্বাচন। এ বছর ডিসেম্বরে হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা।
এসজেড/
Leave a reply