সময়ের সাথে শক্ত হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীর অবস্থান, এবার কি এরদোগানের পালা শেষ?

|

তুরস্কে সাধারণ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দু’সপ্তাহ। ভোটের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, জনমত জরিপে ততোই শক্ত হচ্ছে বিরোধী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলুর। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবারই থামছে টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জয়রথ? তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলা কামাল কিলিচদারোগলুকে দেখা হচ্ছে আধুনিক তুরস্কের জনক কামাল আতাতুর্কের প্রতিনিধি হিসেবে। কামালের হাত ধরে নতুন করে কামাল আতাতুর্ক ফিরবেন কিনা, তার উত্তর জানা যাবে ১৪ মে। খবর ডয়েচে ভেলের।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এমনিতেই বিপর্যস্ত ছিল অর্থনীতি। মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো আসে, শতবছরের শক্তিশালী ভূমিকম্প। নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির ক্ষত সাড়াতে এখনও ঝুঁকতে হচ্ছে আঙ্কারাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে তুরস্কের সাধারণ মানুষকে।

অর্থনৈতিক সংকটে জনগণের এ অসন্তোষকে পুঁজি করেই আসন্ন নির্বাচনে বাজিমাত করতে চান কামাল কিলিচদারোগলু। ১৪ মে’র নির্বাচনে এরদোগানের বিরুদ্ধে ৩ প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে বিরোধী জোটের এই নেতা।

এর আগে পরপর ৪ নির্বাচনে অনেকটা একতরফা জয়ই পেয়েছেন এরদোগান। এবার তাকে ঠেকাতে ছয় বিরোধী দল মিলে সম্মিলিত প্রার্থী দিয়েছে। কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি’র নেতা কামাল কিলিচদারোগলুকে বেছে নেয়া হয়েছে। তিনি পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার করছেন জনগণের কাছে। জয়ী হলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাই কমিয়ে ফেলতে চান তিনি।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এ নিয়ে কামাল কিলিচদারোগলু বলেন, তুরস্কের অর্থনীতি আজ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমরা সচেতন। সেজন্য দেশবাসীকে জেগে উঠতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো আমরা, দেশে আরও প্রাচুর্য এবং শান্তি ফিরিয়ে আনবো।

দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধীদের দমন-পীড়ন এবং দেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার অভিযোগ রয়েছে রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত এরদোগানের বিরুদ্ধে। তার শাসনের অবসানের আশায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে বিরোধীদের সমাবেশে।

এদিকে, প্রচারণায় বিরোধীরা যখন খুব সরব, তখন একেপি সমর্থকদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে এরদোগানের অসুস্থতা। গত সপ্তাহে টিভি অনুষ্ঠানে অসুস্থ হওয়ার পর, টানা তিনদিন নির্বাচনী প্রচারণায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ভোটের আগমুহূর্তে ৬৯ বছর বয়সী নেতার অসুস্থতা, কী প্রভাব ফেলবে ভোটারদের মনে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সমর্থকরা।

গত দুই দশক, তুরস্কের রক্ষণশীল মুসলিমদের একচ্ছত্র সমর্থন পেয়েছেন এরদোগান। বিশ্ব রাজনীতিতে দেশকেও নিয়ে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। একেপি বলছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের এই সংকটময় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পরীক্ষিত শক্ত নেতৃত্বেরই প্রয়োজন তুরস্কের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply