বালু উত্তোলন, বর্ষার আগেই নদী ভাঙন আতঙ্কে যমুনা নদী পাড়ের মানুষ

|

সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যমুনা পাড়ের মানুষ। বালু উত্তোলনের কারণে চলতি বছরে বর্ষায় সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাওয়াকোলা গ্রাম যমুনা নদীতে বিলীন হওয়া আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

বালু উত্তোলন বন্ধ ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন যমুনা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (১০ মে) সকালে কাওয়াকোলা গ্রামের মানুষ যমুনা নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নে কৈগাড়ী দোরতা, চান্ডাল বয়ড়া ও জিয়ারপাড়া গ্রামে বালু মহল রয়েছে। কিন্তু জিয়ারপাড়া বালু মহালের ইজারাদারের লোকজন কাওয়াকোলা ও দোগাছী মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে ফসলী জমি, বসত ভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজার। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে চলতি বছরে বন্যায় কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, বসত বাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সার্জেন্ট (অব.) এস.এম রফিকুল ইসলাম, নামদার মন্ডল, আকরাম হোসেন হীরা, জালাল শেখ, বুলবুল আহমেদ, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তারা অতি দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, জিয়ারপাড়া বালু মহাল ইজারা দিয়েছি। বালু মহালে তফসিল অনুযায়ী জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা এটি মনিটরিং করছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি তারা তফসিল অনুযায়ী বালু উত্তোলন করছে। তবে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করেছে যে, ইজারাদার অবৈধভাবে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। এই অভিযোগটি সঠিক না। তবে এলাকার লোকজন যদি মনে করে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার ক্ষতি হবে বাড়ি ঘর ভেঙে যাবে আমরা সেটি পরীক্ষা করে দেখবো। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সাথে নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply