‘সময়ই বলে দিবে আমি দোষী নাকি নির্দোষ’

|

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির দায়ে গেল ১৪ এপ্রিল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। জরিমানা করা হয় প্রায় ১২ লাখ টাকা। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ছিলেন গণমাধ্যমের আড়ালে। চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি তিনি। তবে হঠাৎ সংবাদ সম্মলেন ডাকেন সোহাগ। সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরলেন তার শাস্তি পাওয়া এবং কোর্ট অব আর্বিট্রেশনে আপিল করা সংক্রান্ত নানা বিষয়।

রাজধানী একটি হোটেলে বুধবার (১০ মে) সংবাদ সম্মেলন করেন সোহাগ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার পক্ষে লড়ে যাওয়া আইনজীবীরা। আইনজীবী দলের প্রধান আজমালুল হোসাইন কেসি (এ্যাডভোকেট এন্ড আরবিট্রেটর) আপিল ও শুনানির প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন। আশাবাদ জানান, অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন সোহাগ।

সোহাগের দাবি, ফিফা ফান্ডের অর্থ চুরি বা অব্যবহারের কারণে নয়, তাকে ‘সর্বনিম্ন’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে ‘ত্রুটি’ থাকার অভিযোগে। তবে আইনগত বাধার কারণে অনেক কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই বলেও জানান তিনি।

সোহাগ বলেন, যেহেতু আমরা একটা আপিল প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে গেছি, কোর্ট অব আর্বিট্রেশনে আবেদন করেছি, সেখানে যাওয়া পর্যন্ত আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাইবো। যেহেতু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আমার লিগ্যাল কাউন্সিলদের দ্বারা যে পরামর্শ পেয়েছি, তাতে আমি আসলে খুব বেশি বলার মতো অবস্থায় নেই। কি বলতে কি বলবো, কি বলে ফেলবো, সেটা কিভাবে অনুদিত হবে তখন ফিফা হয়ত আমাকে আবার বলবে-তুমি কেন কথা বললে? তুমি এগুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়েছ কেন?

২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি বাফুফে করে ২০২১ সালে ডিসেম্বরের। সোহাগের দাবি, এই কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত যে কোনো ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফাকে আগে থেকে অবহিত করে এবং তাদের ‘অনুমোদন’ নিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেন তারা। এই যুক্তিতে নিজের দায় দেখছেন না তিনি, যদিও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নিজেকে সরাসরি ‘নির্দোষ’ দাবিও করছেন না সোহাগ। 

তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাইবো। এই যে একটা অভিযোগ দেশের জন্য, ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য… এটা যেন ওভারকাম করতে পারি। আপনাদের সকলের এবং দেশের সম্মান যেন বজায় রাখতে পারি। সত্য প্রকাশিত হবেই। আমি দোষী নাকি নির্দোষ-এই প্রশ্নের জবাবে সময়ই বলে দেবে।

ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাফুফে এরই মধ্যে সোহাগের জন্য দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ কথা বলতে রাজি হননি।

/আরআইএম

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply