শক্তি সঞ্চয় করে এগোচ্ছে মোখা; আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যায়

ছবি: উইন্ডি ডটকম।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও শক্তি সঞ্চয় করে এগোচ্ছে। কক্সবাজারে এই ঘূর্ণিঝড় মূল আঘাত হানতে পারে আগামীকাল (১৪ মে) সন্ধ্যায়। এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলায় ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল থাকছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপকূলীয় ৭ জেলা- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলা ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতেও বহাল থাকবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এসব এলাকা প্লাবিত হতে পারে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে। এরইমধ্যে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এক দফা বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৪ মে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে শনিবার বিকেল থেকেই মোখার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোখা আট থেকে দশ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোখার কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, দুপুরের দিকে তা আরও বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা আছে। উপকূলের যত কাছে আসবে ততোই মোখার গতি বাড়বে। যা অতিক্রম করবে সন্ধ্যায়। তবে এর প্রভাব বোঝা যাবে আজ রাত থেকেই। ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতি হবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সেন্টমার্টিন এবং উখিয়ায়। এর ফলে পাহাড় ধ্বসের আশংকা থাকবে। মোখার প্রভাবে ঢাকায়ও বৃষ্টিপাত হবে। তবে তার পরিমাণ হবে সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রামের চেয়ে কম।

শনিবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে নয়টায় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৪’তে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ আরও বাড়তে শুরু করেছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে  ৭৪৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্বে দিকে আগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ০৬টা থেকে সন্ধ্যা ০৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি

/এম ই