বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় ভাবনা বা চিন্তার বিষয় সাত নম্বর পজিশন। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে কে খেলবেন এই পজিশনে সেটা নিয়ে এখনও চলছে জল্পনা-কল্পনা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতেও অধিনায়ক তামিম ইকবালের চোখে ঘাটতি হিসেবে ধরা পড়েছে এই পজিশন।
ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করার জন্য এই তিনজন থেকে যেকোনো একজনকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, এখনও (বিশ্বকাপের) এক-দু’টি জায়গা নিয়ে ভাবছি আমরা। আফিফ আছে, ইয়াসির আছে, রিয়াদ ভাই আছেন। যে সবচেয়ে মানানসই হবে, তাকে বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই রিয়াদ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা বড় ব্যাপার। আফিফের এমন কিছু আছে, যা খুব বেশি বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে নেই। ওর ব্যাটিং আমি উপভোগ করি। ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও একই কথা। আমি এখনও কিছু ঠিক করে রাখিনি। এশিয়া কাপ এলে বুঝে নিতে পারবেন, বিশ্বকাপের দল কেমন হবে।
তামিম আরও বলেন, আমার মনে হয় (দল নিয়ে) পরীক্ষা নিরীক্ষা এখন থেকে আমাদের কমানো দরকার। কারণ, বেশিরভাগ ম্যাচ যে ১৫টা ছেলে বিশ্বকাপে থাকবে, তাদের দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, ১২-১৫ পর্যন্ত যারা আছে, তাদেরকেও এক বা দুই ম্যাচ খেলানো। সবাইকে সমান ম্যাচ দেয়া যাবে না। কেউ ৭ বা ৮টা ম্যাচ পাবে, কেউ ৩ ম্যাচ পাবে।
আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের চোটে অভিষেক করানো হয় রনি তালুকদারকে। তাকে ওপেন করিয়ে চারে খেলানো হয় লিটনকে।
তামিম জানালেন, ব্যাকআপ ওপেনার তৈরি রাখার ভাবনায় এই পথে হেঁটেছেন তারা। তিনি বলেন, বেশিরভাগ সময় আমি আর লিটনই ওপেন করি। আজ (গতকাল) রনি ওপেন করেছে। যদিও রান পায়নি। একটা মানুষকে এক ম্যাচ সুযোগ দিয়ে বদলে ফেলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত, আমি জানি না। সব আমার হাতেও নেই। এখানে আমার সীমাবদ্ধতা আছে। (বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভাবার) জায়গা এটা একটা। আর ৬-৭ নম্বরেও খেলোয়াড় দেখছি আমরা।
/আরআইএম
Leave a reply