রোববার ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবনের দ্বার উন্মোচন, মোদির হাতে উদ্বোধন নিয়ে জটিলতা

|

শত বছরের পুরোনো ইতিহাস, আর নানা ঘটনার সাক্ষিকে পেছনে ফেলে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে ভারতে। রোববার উদ্বোধন হতে চলেছে দেশটির নতুন পার্লামেন্ট ভবনের। জাঁকজমক আয়োজনে এর দ্বার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরইমধ্যে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। এদিকে, প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদি মুর্মুর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন ভবনের উদ্বোধনের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী শিবির। খবর এনডিটিভির।

দিল্লিগেট এলাকায় আগের পার্লামেন্ট ভবনের পাশেই নির্মিত হয়েছে নতুন ভবনটি। সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলা নতুন ভবনে একসাথে অংশ নিতে পারবেন ১ হাজার ২৭২ এমপি। রয়েছে আলাদা সংবিধান হল, লাউঞ্জ ও লাইব্রেরিও।

ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবনের অন্দরমহল।

স্থপতি বিমল প্যাটেলের ডিজাইনে নতুন পার্লামেন্ট ভবনের লোকসভা তৈরি করা হয়েছে ময়ুর আর রাজ্যসভা তৈরি করা হয়েছে পদ্মফুলের আদলে। ২০২০ সালে কাজ শুরু হওয়া নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি রুপি। ভারতের প্রখ্যাত শিল্প পরিবার টাটা গ্রুপ নির্মাণ করে এই ভবন।

পরিবর্তন আনা হয়েছে অন্যান্য সড়ক এবং স্থাপনাতেও। আলোচিত সড়ক রাজপথের নাম বদলে দেয়া হচ্ছে ‘কর্তব্য পথ’। নতুন ভবনে স্থাপন করা হবে ভারতের ঐতিহাসিক রাজদণ্ড। এছাড়াও বাজারে ছাড়া হবে বিশেষ স্মারক মুদ্রা।

ভারতের স্বাধীনতার প্লাটিনাম জুবিলি বা ৭৫ বছরপূর্তিতে, ২০২২ সালে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল নতুন ভবনের। তবে তা পিছিয়ে যায় করোনা মহামারির কারণে। পুরনো ভবনটি ব্যবহৃত হবে যাদুঘর এবং সংসদীয় অন্যান্য কাজে। দুই ভবন মিলে অভিন্ন নাম হবে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্স।

১৯২৭ সালে ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন্স এবং হারবার্ট বেকার তৈরি করেন ভারতীয় পার্লামেন্টের বর্তমান ভবন। সরকার বলছে, পুরনো হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এমপি সংখ্যা বাড়ার কারণে পরিবর্তন করা হচ্ছে ভবন।

ভারতের বর্তমান পার্লামেন্ট ভবন।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট দ্রোপদি মুর্মুর পরির্বতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধনের ঘোষণা দেয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনুষ্ঠান বয়কট করেছে ভারতের বিরোধী দলগুলো।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply