নিগৃহীত ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

|

সমতা প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যরত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, এমপি।

সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য ও নিগৃহের স্বীকার ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠী। গাড়িতে, বাসে এমনকি চোখ দিয়ে পর্যন্ত তাদের নিগৃহের শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে পিছিয়ে থাকা ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে আমেরিকান দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র নতুন প্রকল্প ‘সমতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ময়মনসিংহে চেষ্টা করেছি তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে।

এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তাগাছাকে ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই যেখানে ‘সমতা’ চাইলে অর্থায়ন করতে পারে অথবা আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএসএআইডি’র বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি. স্টিভেন্স বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে ‘সমতা’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন জরুরি। বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে এ প্রকল্প কাজ করবে বলে আমি মনে করি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের প্রতি লিঙ্গ বৈষম্য এবং নির্যাতন কমবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশই এ জনগোষ্ঠীর মানুষের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় আনতে হলে বৈষম্য বিরোধী আইন সংসদে পাশ করা জরুরি। তাছাড়া এ জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা কমিশন গঠন করে অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে। তাছাড়া এ জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা বাজেট থাকলে তা কীভাবে খরচ হচ্ছে তা মনিটরিং ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

সমতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনএইডস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সায়মা খান।

প্রসঙ্গত, সমতা প্রকল্প আগামী ৫ বছরের জন্য দেশের ৮টি বিভাগে কাজ করবে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্পের আওতায় ৮৭০০ জন ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষকে জীবনমান পরিবর্তনে সহায়তা করবে, এবং ৪৭৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply