ফরিদপুর প্রতিনিধি:
নানা সমস্যায় জর্জরিত ফরিদপুর মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল। সমস্যা সমাধানে প্রিন্সিপালকেও প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ফলে প্রতিনিয়ত একাডেমিক নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। বাধ্য হয়ে ৬ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি করছে ছাত্রছাত্রীরা। আর, তাদের
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে সুপেয় পানির সংকট, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনসহ নানা সমস্যার জর্জরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে বার বার জানানোর চেষ্টা করলেও তাকে ক্যাম্পাসে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এসবের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রিন্সিপাল ক্যাম্পাসে আসেনই মাসে একবার। এমন অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা ভর্তির পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও প্রিন্সিপালকে দেখেনি। প্রিন্সিপাল না থাকায় বহিরাগতরা অবাধে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করে। ছাত্রীরা বাইরে পানি আনতে গেলেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। তার সাথে যোগাযোগ শুধু ফোনেই হয়। তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে পাওয়া যায় না। অন্যান্য ম্যাটসে ক্লাস শুরু হলেও এ প্রতিষ্ঠানে এখনও রুটিনই প্রস্তুত করতে পারেননি অধ্যক্ষ।
ফরিদপুর মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডা. মো. মেজবাউল হক জানান, ৩ মাসের ছুটিতে আছেন তিনি। আরও ৬ মাসের জন্য ছুটির আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যারা এ নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
ফরিদপুর মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল অধ্যক্ষ ডা. মো. মেজবাউল হক বলেন, ওরা বেয়াদব সব। ওরা সব মিথ্যা কথা বলছে। ওদের কথায় কান দেয়ার কোনো দরকার নাই। আমি তিন মাসের ছুটিতে আছি এবং আমি আরও ছুটি নেবো। আরও ৬ মাসের ছুটির জন্য আবেদন করেছি।
কেনো অধ্যক্ষ ইচ্ছেমত অফিস করেন আর কেনোইবা এতো সংকট- এসব জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, তদন্ত কমিটি করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়কে জানাবো।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে ফরিদপুর মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১৬ জন।
/এসএইচ
Leave a reply