মানবপাচার রোধে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

|

মানবপাচার রুখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, তবে মানবপাচার রোধে ন্যূনতম মানদণ্ড সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে পারেনি সরকার। এমন কথা বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার বিষয়ক প্রতিবেদন ইউএস ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি)-তে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে অন্যান্য দেশের মতো উঠে এসেছে বাংলাদেশের অবস্থানও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের মতোই দ্বিতীয় ধাপ বা টায়ার-২ তে আছে বাংলাদেশ।

২০২৩ সালের ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার দূর করতে ন্যূনতম মান পূরণ করতে না পারলেও এ লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য চেষ্টা চালিয়েছে সরকার। আগের বছরের তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। বলা হচ্ছে, মানবপাচার বন্ধে পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা, রোহিঙ্গা পাচারের ঘটনার তদন্তে প্রথমবারের মতো গুরুত্বারোপ এবং সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে ফি কমানোর দিকে নজর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ সমস্যা নির্মূলে ন্যূনতম যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার বাংলাদেশ সরকার সেগুলো পুরোপুরি নিতে পারছে না। ফলে আগের বছরের মতোই এ বছরও দ্বিতীয় ধাপে বা টায়ার-২ এ রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে মানব পাচারের তথ্য প্রকাশ করেনি। ফলে সঠিকভাবে পরিস্থিতি নিরূপণ করাও সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালে সরকারি হিসাব বলছে, পাচারের শিকার হয়েছে ২৪০ জন। অথচ সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি, কমপক্ষে ৬ হাজার ৭৮১ জন পাচারের শিকার হয়েছে।

পাচারকারীদের আরও কঠোর শাস্তি ও মানবপাচার ট্রাইবুনালের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মোট ১০ দফা সুপারিশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১০ দফা সুপারিশে প্রথমটিতে মানবপাচার অপরাধের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় আরও মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মার্কিন বিবেচনায়, মানবপাচার রোধ করতে গেলে অপরাধীদের শুধু অর্থদণ্ড নয়, একইসঙ্গে কঠোর কারাদণ্ড দিতে হবে।

মানবপাচারের ভুক্তভোগীদের চিহ্নিত করার সুপারিশ করার পাশাপাশি ট্রাইবুনালের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যও বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ভুক্তভোগীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি করা, যেসব কোম্পানি বিদেশে লোক পাঠায় তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো, দালালদের ওপরও কঠোর নজরদারির পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply