স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হয় যানজট। এছাড়া দুই মহাসড়কজুড়ে রয়েছে খানাখন্দ আর ধুলাবালি। ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ বাড়লে ভোগান্তির মাত্রা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা যাত্রী ও চালকদের। সড়ক বিভাগ ও পুলিশ জানিয়েছে, ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের করার কাজ চলছে। এর আওতায় রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে খাঁটি হাতা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার অংশ।
খানাখন্দ আর চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য দু’টি মহাসড়কে ভোগান্তি চরমে যাত্রী আর চালকদের। বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পাড়ি দিতে কোনো কোনো সময় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লেগে যায়। সাথে ধুলাবালির যন্ত্রণা তো আছেই। ঈদুল আজহায় যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি পশুবাহী গাড়ির চাপও বাড়ে। তাই এই দুই মহাসড়কে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা ভুক্তভোগীদের।
এ দুই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা অভিযোগ করে বলেন, রাত নেই দিন নেই জ্যামে পড়ে বসে থাকতে হয়। মালামাল নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়ার উপায় নেই। ২০ মিনিটের রাস্তা যেতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। খানাখন্দ ঠিক করে না। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আর ধুলা তো আছেই।
ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ লাঘব করতে মহাসড়কের খানাখন্দ ভরাটসহ ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানি ছিটানো হবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত যাতে নির্বিঘ্ন হয় তার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফোর লেনের কাজ চলমান থাকার কারণে রাস্তায় অনেক জায়গায় একটু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমরা সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই দুই মহাসড়কে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদুল আজহায় এই সংখ্যা বাড়ে প্রায় দ্বিগুণ।
এএআর/
Leave a reply