ভারতের বিপক্ষে হারলেও ক্ষতি নেই, যদি বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে আসে। আর, বিশ্বকাপ জিততে না পারলে ভারতের বিপক্ষে জিতেও কোন লাভ নেই- বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাদাব খান। মন্তব্য শুনে মনে হতে পারে যে বিশ্বকাপের উত্তাপ এখনই পেতে শুরু করেছেন শাদাব। এদিকে, পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩। বিশ্বকাপের সবচেয়ে কাঙ্খিত লড়াইয়ের দিন। এদিন, আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আকষর্ণীয় লড়াইয়ের একটি। যে ম্যাচ দেখতে অপেক্ষার তর সইছে না দুই দলের সমর্থকদের। যে রোমাঞ্চের উত্তাপ শুরু হয়েছে দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যেও। আর এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের চাপ এরইমধ্যে ছুঁয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাদাব খানকেও।
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাদাব খান বলেন, ভারতের বিপক্ষে খেলার একটা আলাদা আনন্দ আছে। অন্য রকম চাপ থাকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। এবারের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলা হবে তাদের ঘরের মাঠে। দর্শকরাও আমাদের বিপক্ষে থাকবে।
তবে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে দু’দলের অতীত পরিসংখ্যান হতাশ করবে আপনাকে। যেখানে ভারতের একপেশে দাপটে রীতিমতো অসহায় পাকিস্তান। এ মঞ্চে দু’দলের সাতবারের লড়াইয়ে একবারও জিততে পারেনি পাকিস্তান। তাতে অবশ্য বিচলিত নন শাদাব। ভারতের বিপক্ষে আরও একবার হারতে রাজি, বিনিময়ে জিততে চান বিশ্বকাপের ট্রফি।
শাদাব খান বলেন, আমরা ভারতে যাবো বিশ্বকাপ খেলতে। আমাদের চিন্তায় শুধু বিশ্বকাপই থাকা উচিত। শুধু ভারতের ব্যাপারে ভাবলে চলবে না। যদি ভারতের বিপক্ষে জেতার পর বিশ্বকাপ জিততে না পারি, তাহলে তো কিছুই হলো না। আর যদি বিশ্বকাপ জিততে পারি, তাহলে ভারতের বিপক্ষে হেরে গেলেও ক্ষতি নেই। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর পাঁচবার দেখা হতে পারে ভারত ও পাকিস্তানের। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব, সুপার ফোর ও ফাইনাল। আর বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের পর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। শেষ পর্যন্ত যদি এই পরিসংখ্যান মিলে যায়,তাহলে নিঃসন্দেহে সেরা একটি বছর পার করবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
/এসএইচ
Leave a reply