কলোসিয়ামের দেয়ালে যুগলের নাম, পর্যটককে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ঐতিহাসিক রোমান কলোসিয়ামের দেয়ালে যুগলের নাম লেখায় এক পর্যটককে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইতালির পুলিশ। এর আগে, রায়ান লুটজ নামের এক মার্কিন পর্যটক কলোসিয়ামের দেয়ালে লেখার ঘটনাটি রেকর্ড করে ইউটিউব ও রেড্ডিটে পোস্ট করলে জানাজানি হয় বিষয়টি। খবর সিএনএনের।

আলোচিত ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কলোসিয়ামের দেয়ালে ইংরেজিতে ‘ইভান+হ্যালি’ লিখছেন এক পর্যটক। এ সময়, তার বান্ধবীকে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, ২০২৩ সালে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো কলোসিয়ামের দেয়ালে লেখার ঘটনা ঘটলো। এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসেবে সাধারণত ১৫ হাজার ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ইতালিতে। 

মঙ্গলবার পোস্ট করা এক টুইটে ইতালির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গেনারো সাঙ্গিউলিয়ানো বলেন, কলোসিয়ামের দেয়ালে নিজের ও বান্ধবীর নাম খোদাই করা এক পর্যটককে খুঁজছি আমরা। তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, দুই হাজার বছরের পুরোনো ফ্ল্যাভিয়ান অ্যাম্পিথিয়েটারে নাম খোদাই করা গুরুতর, অমার্জিত এবং অত্যন্ত অসভ্যতার লক্ষণ। আশা করছি, শীঘ্রই অপরাধীদের খুঁজে বের করে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। 

দেয়ালে লেখার ঘটনা ভিডিও করা রায়ান লুটজ গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছি। আমি ভাবতেই পাছি না যে কেউ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্মৃতিস্তম্ভকে এভাবে বিকৃত করতে পারে! কারণ জিজ্ঞেস করার পর সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসেছিলো। এমনকি এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়ার পরও সেখানকার গার্ড বা সুপারভাইজার কিছুই করেননি বলেও উল্লেখ করেন লুটজ। 

এ প্রসঙ্গে ইতালির পর্যটন মন্ত্রী ড্যানিয়েলা সান্তানশে বলেন, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না- এটা যারা বোঝেন, শুধুমাত্র তাদেরকেই কলোসিয়ামে আসার অনুমতি দেয়া উচিৎ। যারা পর্যটক হিসেবে আমাদের দেশে আসে তাদেরকে এমন আচরণের অনুমতি আমরা দিতে পারি না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কলোসিয়ামের দেয়ালে লেখার অপরাধে এক রুশ পর্যটককে ২৫ হাজার ডলার জরিমানা এবং চার বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালি। পরের বছর দু’জন আমেরিকান পর্যটককেও স্মৃতিস্তম্ভে নাম খোদাইয়ের অপরাধে শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

/এসএইচ

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply