মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২শ’ ডলার; শঙ্কিত নয় সরকার

|

তৌহিদ হোসেন:

তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২শ’ ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক উৎস থেকে ধার নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩শ’ কোটি ডলার। তবে কিস্তি পরিশোধে কোনো জটিলতা নেই। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অর্থনীতির ধাক্কা সামলাতে পারলে আরও বেশি বিদেশি ঋণ নিতে চায় সরকার। এতে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন সহজ হয়। তবে, ঋণের অর্থের ব্যবহার নিয়ে নিশ্চিন্ত নন গবেষকরা।

দেশজুড়ে চলছে সরকারি উন্নয়ন যজ্ঞ। গত কয়েক বছরে মেগা প্রকল্পও এসেছে একাধিক। সেই সাথে, অন্যান্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও বিপুল অর্থ লেগেছে সরকারের। সেই ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন উৎস থেকে ক্রমাগত বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। গত তিন বছরে এই পরিমাণ আরও বেড়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের মার্চে সরকারের বিদেশি ঋণ ছিলো ৬ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে সেই পরিমাণ দাড়ায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারে। এর সুবাদে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ ডলারে। যা ২০২০’র শুরুতে ছিল ৩৬২ ডলার।

বিদেশি ঋণের এই চাপ যৌক্তিক কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক কিংবা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঋণ হোক; কোনো ঋণ নিয়েই আমাদের বিপদের কোনো সম্ভাবনা নেই এ কারণে যে, যা নেবার যোগ্যতা আছে তার চেয়ে অনেক কম নিয়ে রেখেছি এ পর্যন্ত। আমি বলবো, প্রয়োজনে ব্যয় করার সুযোগ আরও বাড়াবো, দক্ষতা বাড়াবো। আরও ঋণ নেয়া দরকার।

গত এক দশকে রাশিয়া, চীন ও ভারতের সাথে কম বেশি সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে চীনের ১২ প্রকল্পে ১ হাজার ৭৫৪ কোটি ও রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর বাইরে, তিনটি লাইন অব ক্রেডিটে ৭৩৬ কোটি ডলার দিচ্ছে ভারত। নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে এআইআইবি, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সাথে।

পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর কাছে এটা কোনো সমস্যা নয়। তাদের প্রজেক্ট অনুমোদিত হয়ে আছে, টাকাও ঠিক হয়ে আছে। প্রজেক্টের যে শর্তগুলো আছে, যে কাগজপত্র আছে সেগুলো দিয়ে প্রজেক্ট ছাড় করাতে হবে। এখন আমার প্রজেক্ট যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমি কীভাবে প্রজেক্টের টাকা ছাড় করাবো? করতে পারবো না।

২০২৪ সালে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা দরকার হবে সরকারের।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply