বিএনপি জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

|

ছবি: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের । ফাইল ফটো

বিএনপি জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না, তাদের কোনো চক্রান্ত সফল হবে না। এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি ও তাদের জোটে থাকা রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও ৫০ শতাংশের উপর ভোট পড়েছে।

জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলটির আজ জনসমর্থন শূন্য হয়ে পড়েছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনবিরোধী অবস্থান থেকে নির্বাচনকে ভোটারশূন্য করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি তাদের জনসমর্থনহীনতার ভীতি থেকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অযৌক্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

বাংলার জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে না দাবি করে কাদের বলেন, দলটির কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায়েই সরকার পরিবর্তন হবে। 

বিএনপির সময় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কোনো সক্ষমতাই ছিল না। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। বিশেষত সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে আরও সুদৃঢ় করতে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করেছেন। 

বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার প্রতি ঐতিহ্যগতভাবে তাদের কোনো আস্থা নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

দলীয় ও বিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দিয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কলঙ্কিত করেছিল দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের সময় কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করেছে। বিএনপি ক্ষমতা দখল করে সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অকার্যকর করেছিল। 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply