ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তি ইস্যুতে হতাশ ইউক্রেন

|

শীর্ষ সম্মেলন থেকে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় হতাশ ইউক্রেন। এর মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো যে, ন্যাটোয় কিয়েভের অন্তর্ভুক্তি অতটাও সহজে হচ্ছে না। বিশ্লেষকদের ধারণা, কৌশলগতভাবেই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইউক্রেনকে ন্যাটোয় যুক্ত করার ব্যাপারে সতর্ক পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের কাছে ইউক্রেনের সব আবদারই যে পূরণ হবে না, তারও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের।

ন্যাটো সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে থাকলেও জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রাপ্তি কেবল পশ্চিমাদের দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সহায়তার আশ্বাস। এসেছে জি-সেভেনভুক্তদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি কাঠামো ঘোষণাও। তবে ন্যাটোয় সদস্যপদের নিশ্চয়তার যে উচ্চাভিলাষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভিলনিয়াসে গিয়েছেন, পূরণ হয়নি তা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চাইলেই যে সব পাওয়া সম্ভব নয়, এবারের ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিতই পেলো ইউক্রেন। তবে পশ্চিমাদের প্রতিরক্ষা সহায়তাকেও বড় করে দেখছেন তাদের কেউ কেউ।

এ প্রসঙ্গে আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো ইয়ান ব্রেজেজিনস্কি বলেন, ন্যাটোয় অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ পাওয়ায় ইউক্রেনীয়রা অবশ্যই হতাশ হয়েছে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে সামরিক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ পাওয়ার আশ্বাস তারা পেয়েছে।

গত প্রায় দেড় বছর ধরে ইউক্রেনের মোটামুটি সব আবদারই পূরণ করে আসছে পশ্চিমারা। যদিও প্রতিবারই আরও অস্ত্র সহায়তা চেয়েছে তারা। চাহিদা অনুযায়ী পেয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল, সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ইত্যাদি। এমনকি মিত্রদের সাথে মন কষাকষির পরও নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও কেনো ঝুঁলিয়ে রাখা হচ্ছে ইউক্রেনকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমাদের ওপরও চাপ আছে।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক মাইকেল এলেন বলেন, এ মুহূর্তে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনের। তাই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া হলে তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোটের একধরনের যুদ্ধ ঘোষণার মতোই হবে।

প্রসঙ্গত, গত প্রায় ৮ বছর ধরে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। তবে নানা শর্তের বেড়াজালে বারবার আটকেছে কিয়েভ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply