দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ গেমসের আসর বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। ২০২৬ আসরের আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় তৈরি হয়েছে এই অনিশ্চয়তা। ভিক্টোরিয়ার রাজ্য প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুস জানিয়েছেন, খরচ প্রায় তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। খবর রয়টার্সের।
বার্মিংহামের পর ভিক্টোরিয়া, ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়ায়। গত বছরের এপ্রিলে জানানো হয় এমন খবর। হঠাৎ করেই ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য প্রধান ডেনিয়েল অ্যান্ড্রুস। তিনি বলেন, আমি আমার কাজের সময়কালে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি তার মধ্যে একটি। কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের প্রাথমিক খরচ আনুমানিক ২ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ধরা হয়েছিল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, এটা আয়োজন করতে ৭ বিলিয়ন ডলার লাগবে। আমরা তাই এই আসর আয়োজন করবো না।
অ্যান্ড্রুস জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়ার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বাজেট ভেঙে ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের পক্ষে নন তিনি। আর বিষয়টি এরই মধ্যে জানিয়েও দেয়া হয়েছে কমনওয়েলথ ফেডারেশনকে। তিনি আরও বলেন, একটি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য আমি আমার হাসপাতাল ও স্কুলের বাজেটের টাকা কমাতে পারবো না। এটা গত বছরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের আনুমানিক খরচের সমান। আমরা কমনওয়েলথ গেমসের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা এই চুক্তি পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অ্যান্ড্রুসের কথায় ফেডারেশনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার সুর থাকলেও, এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ভিক্টোরিয়ার এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত হতাশাজনক বলেছে কমনওয়েলথ ফেডারেশন। কোনোরকম আলোচনা না করে মাত্র আট ঘণ্টার নোটিশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার শহরটি সরে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো দেশ এই আয়োজনে ইচ্ছা প্রকাশ না করায় ২০২৬ কমনওয়েলথ নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া এই মেগা ইভেন্ট এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে আলোর মুখ দেখেনি শুধুমাত্র ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে।
/আরআইএম
Leave a reply