উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনায় তুমুল হইচই

|

কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ায় এক মার্কিন সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনায় চলছে তুমুল হইচই। তিনি স্বেচ্ছায় ও অনুমোদন ছাড়াই দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্ত পাড়ি জমিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুই কোরিয়ার কড়া নিরাপত্তাধীন সীমান্ত এলাকা দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে এক মার্কিন নাগরিক আটক হন। আটককৃত ওই নাগরিক এখন উত্তর কোরিয়া কাস্টডিতেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছে উত্তর কোরিয়া। ফলে ট্রাভিস কিং নামে ওই সেনা কী অবস্থায় আছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নিপীড়নের শিকার হতে পারেন তিনি। তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পেন্টাগনও।

জাতিসংঘ পরিচালিত অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর একটি পরিদর্শক দলের সদস্য ছিলেন প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস র‍্যাঙ্কের সেনা ট্রাভিস কিং। ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী এমনটা জানিয়েছেন– দুই কোরিয়ার সীমানা বিভাজনকারী রেখা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সেনা যখন উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন, তখন তিনি উচ্চ শব্দে হাসছিলেন। কয়েকটি ভবনের মধ্য দিয়ে দৌঁড়ে অনুমোদন ছাড়াই ঢুকে পড়েন উত্তর কোরিয়ার অংশে। এরপর আর ফিরে না আসায় শুরু হয় হইচই।

পুলিশের রেকর্ড বলছে, এর আগেও নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর, মারামারির মতো ঘটনায় জড়িত হওয়ার রেকর্ড ছিল ট্রাভিস কিংয়ের। ২০২১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি।

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, আমরা একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। আমাদের অনেক কিছু জানার বাকি। আমরা শুধু এতটুকুই জানি যে আমাদের একজন সেনাসদস্য আমাদের অনুমতি ছাড়াই নিজ ইচ্ছায় উত্তর কোরিয়া সীমান্তে ঢুকে পড়েছে।

১৯৫০ এর পর প্রায় ৩০ হাজার উত্তর কোরিয় প্রবেশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে কোনো দক্ষিণ কোরিয় বা মার্কিনির উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার ঘটনা বিরল। এর আগে, ২০১৭ সালে এক মার্কিন শিক্ষার্থী আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার কারাগারে সাধারণত মার্কিন বন্দীদের সাথে নৃশংস আচরণ করা হয়।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply