২৫ জুলাই তাহের হত্যার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

|

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি ২৫ জুলাই রাতে কার্যকর করা হবে।

বুধবার (১৯ জুলাই) রাজশাহী জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানায়, ২৫ জুলাই রাত ১০টা ১ মিনিটে একই মঞ্চে একইসঙ্গে দু’জনের ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় আসামিরা। তবে তা নাকচ করা হয়।

জাহাঙ্গীরের ভাই সোহরাব হোসেন জানান, আইনজীবী এস এন গোস্বামীর পরামর্শে তারা ১৭ জুলাই ফাঁসি স্থগিত চেয়ে নথিসহ আমেরিকান দূতাবাসে আবেদন করেছেন। তবে সেখান থেকে এখনও কোন সাড়া মেলেনি। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পশ্চিমপাড়া আবাসিক কোয়ার্টার থেকে অধ্যাপক তাহের নিখোঁজ হন। ওই বাসায় তিনি একাই থাকতেন। কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম তার দেখাশোনা করতেন। পরদিন বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এই মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিরা আপিল করেন। এতে দুজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। এ দুজন হলেন, কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। অন্য দুজনের সাজা বহাল থাকে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply