ট্রাম্পের আদালতে হাজিরা ঘিরে চাপা উত্তেজনা ওয়াশিংটনে

|

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে বাড়ানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। গোটা রাজধানী জুড়েই বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। খবর বিবিসির।

২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে তৃতীয় ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অবশ্য এটিকে নিজেদের দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি ও ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারের প্রোপাগাণ্ডা হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প। এসব মামলার সহসাই সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় আদালতে হাজিরা দেবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই রাজধানীর ই ব্যারেট প্রিটিম্যান আদালত প্রাঙ্গন এবং আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের আশঙ্কা, ট্রাম্পের উগ্র ডানপন্থী সমর্থকরা অবস্থান নিতে পারেন।

এদিকে, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ইস্যুতে নতুন ফৌজদারি মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। নিজস্ব যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি ও ব্যর্থতা ঢাকতে এটি সরকারের প্রোপাগাণ্ডা। তবে রিপাবলিকানরা আইনি ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল।

এ বিষয়ে মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পদপ্রার্থী মাইক পেন্স বলেন, অভিযোগের বিষয়টি এতো দূর গড়াবে তা ভাবিনি। আমার ধারণা ছিল, ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনগণ। কিন্তু সেটি আনা হলো ফৌজদারি মামলায়। অভিযোগপত্রে যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেসব নথি আদৌ সরকার পক্ষের হাতে রয়েছে কিনা সেটি যাচাইয়ের সুযোগ কম। তবে আমার অবস্থান থেকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ ছিল না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে সহসা মামলাগুলো সুরাহার সম্ভাবনা নেই। কারণ, প্রচারণার স্বার্থে সমস্যা জিইয়ে রাখতে চান ট্রাম্প। অন্যদিকে, ভোটের আগেই তাকে অপরাধী প্রমাণ করার চেষ্টায় আছে দেশটির বিচার বিভাগ।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফেডারেল কৌঁসুলি সারাহ্ ক্রিসফ। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেই বিতর্কিত চরিত্র। মামলা বা শুনানি সর্ম্পকিত সমস্যা মেটানোর তার কোনো আগ্রহ নেই। তিনি কোনো নির্দেশনা বা নীতিমালা মানতেও সম্মত নন। সুতরাং সহসা এই মামলা কোনো মীমাংসায় পৌঁছাবে না। চূড়ান্ত রায় আসতে কয়েক বছর লাগতে পারে।

কলাম্বিয়া ল’ স্কুলের অধ্যাপক জন কফি বলেন, অভিযোগপত্রটি বেশ চিন্তাভাবনা করে লেখা। এর একমাত্র লক্ষ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিচারিক কাজ সম্পন্ন করা। তারা ষড়যন্ত্রকারীদের নাম লিপিবদ্ধ করলেও কোনো অভিযোগ আনেনি। সেটি হলে, ঐ ছয়জনের আলাদা জবানবন্দি, শুনানি রাখতে হতো। যুক্ত হতেন আইনজীবীরা। যা মামলাটিকে ঝুলিয়ে দিতো।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি গোপন এবং ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে সাবেক পর্ন তারকার মুখবন্ধ করার মতো আরও দুটি মামলা রয়েছে। মোট তিনটি মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ৭৮টি অভিযোগ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply