টাইফুন ডকসুরির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে চীনের উত্তরাঞ্চলে। প্রাণহানি এড়াতে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) কর্তৃপক্ষ জানায়, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। গত কয়েকদিনে বেইজিং, হিবেই ও তিয়ানজিন প্রদেশে ১২ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। নিখোঁজদের সন্ধানেও চলছে অভিযান।
ভয়াবহ টাইফুন ও বন্যার প্রভাবে অঞ্চলগুলোতে সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে আবাসিক ভবনসহ বহু স্থাপনা। ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ত্রাণ সহায়তা এবং ঘরবাড়ি জরুরি সংস্কারের জন্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে সরকার। এছাড়া, জরুরি ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে দেয়া হয়েছে আরও তিন কোটি ইউয়ান।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) টাইফুন ডকসুরির প্রভাবে বেইজিংয়ে শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ২০০৬ সালে টাইফুন ‘সাওমি’ আঘাত হানার পর ডকসুরি চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। এর আগে বেইজিংয়ের নিকটবর্তী সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়টি ছিল ১৯৭২ সালের ‘রিটা’। ২০২১ সালেও দেশটিতে প্রবল বন্যা-বৃষ্টিপাতে তিন শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে।
/এএম
Leave a reply