চৌদ্দ দলের প্রধান সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু অভিযোগ করে বলেছেন, আন্দোলনের নামে সংবিধানে হাত দিতে চায় বিএনপি। সংশোধনের নামে তারা পাকিস্তানি সংবিধান বানাতে চায়।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘আন্দোলনের নামে বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ’ এ দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সেখানে চৌদ্দ দলের প্রধান সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের গাত্রদাহ থাকবেই। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে আবারও পাকিস্তান সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, মানবিক বিবেচনায় কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। একজন কারাবন্দী নেত্রীর সাথে দলের নেতাকর্মীদের দেখা করার ব্যবস্থাও করে দিয়েছে শেখ হাসিনা। আর, আজ বিএনপি তাকেই সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এদেশের মাটিতে টিকবে না, বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
চৌদ্দ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি ভুল পথে হাঁটছে। আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তারা।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, যারা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্চভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাইছে তারা ভুল করছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা দেশে শান্তি চাই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত শান্তি বিনষ্ট করতে চায়। তারা আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতকে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে না পারলে তারা এই সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতেই থাকবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন হবে। দেশি কিংবা বিদেশি প্রভু কেউই ষড়যন্ত্রকারীদের রক্ষা করতে পারবে না।
শান্তি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া, ঢাকা (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
/এসএইচ
Leave a reply