২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের দিক থেকে এশিয়ার ব্যাটারদের জয় জয়কার। এই তালিকায় বাবর-কোহলির পরই আছেন লিটন-তামিম। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারেও দাপট দেখিয়েছেন এশিয়ান বোলাররা। যেখানে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিশ্বকাপের এখনও বাকি দু’মাস। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কার হাতে উঠবে সোনালি ট্রফি, এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তাদের প্রশ্ন, ট্রফি কি এশিয়ায় থাকবে? ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান অবশ্য এগিয়ে রাখছে এশিয়াকেই। কারণ, গত বিশ্বকাপের পর থেকে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়েছেন এশিয়ার ব্যাটাররা। শুধু ব্যাটিংয়ে নয় বোলিংয়েও এগিয়ে এশিয়ার বোলাররা।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ৪ বছরে রান তোলায় সবার ওপরে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ২৮ ইনিংসে বাবরের রান ১ হাজার ৮৭৬। গড়ও ঈর্ষণীয়, ৭২.১৫। ওডিআইতে বর্তমানে সেরা ফর্মে নেই ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর রান তোলায় দ্বিতীয় তিনি। ৩৭ ইনিংসে ৪৬.০৫ গড়ে ১ হাজার ৬১২ রান করেছেন তিনি। এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের লিটন-তামিমের। ৩৯ ইনিংসে লিটনের রান ১ হাজার ৪৪৫, গড় ৪২.৫০। এক ইনিংস বেশি খেলা তামিমের রান ১ হাজার ৪৪২, গড় ৪০.০৫।
বোলিংয়ে বেশ উজ্জ্বল বাংলাদেশের অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর নিজের খেলা ৪০ ইনিংসে ৫৩ উইকেট নিয়ে মিরাজের অবস্থান তৃতীয়। এই সময়ে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন দুইজন লেগ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ৩১ ইনিংসে নিয়েছেন ৬৬ উইকেট, গড় মাত্র ২০.৬৯। আর ৩৮ ইনিংস খেলা শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গার উইকেট সংখ্যা ৫৮। মিরাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ছাড়ছেন ভারতের শার্দুল ঠাকুর। ৩৩ ইনিংসে ৫২ উইকেট তার। তালিকায় একমাত্র পেসারও তিনি। এই সময়ে উইকেট সংখ্যায় পাঁচে ভারতের চায়নাম্যান স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব। ৩৩ ইনিংসে তার শিকার ৪৮ উইকেট।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে এই পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা চিন্তিত হতেই পারে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো। এই ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান দলগত সাফল্য আনতে পারে কিনা, এটাই দেখার বিষয়।
/এএম
Leave a reply