রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোল পাকিস্তানে

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই নির্বাচনের ট্রেন চালু হয়ে গেলো পাকিস্তানে। পার্লামেন্ট বিলোপের মাধ্যমে শুরু হলো জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া। আগামী তিন দিনের মধ্যেই দেশটিতে গঠিত হবে অন্তর্বতীকালীন সরকার; তাদের অধীনেই হবে নির্বাচন। নাটকীয় কিছু না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না পিটিআই নেতা ইমরান খান। ৯০ দিনের মধ্যে ভোট আয়োজনের বিধি থাকলেও নানা জটিলতায় আশঙ্কা আছে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ারও। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কৌশলে নির্বাচন পিছিয়ে কালক্ষেপণ করতে চায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের জোট। খবর রয়টার্সের।

বুধবার (৯ আগস্ট) পার্লামেন্ট ভাঙার আবেদন জানিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। মধ্যরাতে তাতে সই করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ। বিদায়বেলায় পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরীফ স্বীকার করলেন, কঠিন সময় পার করছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেন, গত ১৬ মাস আমার জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে আগে কখনও পড়িনি। সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি, দিনের পর দিন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, বন্যা। তবে আল্লাহর কৃপায় আমাদের সরকার খুব ভালোভাবে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।

বিধি অনুযায়ী আজ থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে গঠন করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরইমধ্যে, বিরোধী দলের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন শাহবাজ শরীফ। সংবিধান অনুযায়ী ভোট আয়োজনের জন্য সময় মিলবে ৯০ দিন। তবে সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, নতুন নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণেই লেগে যেতে পারে কয়েক মাস।

এ প্রসঙ্গে রাজনীতি বিশ্লেষক অমিত রঞ্জন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলেও তাতে সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রতিনিধিরাই থাকবেন। নির্বাচনের পর পরবর্তী সরকার গঠনেও তৈরি হবে জটিলতা। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তা ঠিক হতে সময় লাগবে।

পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের জেল ও রাজনীতি থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান। শাহবাজ প্রশাসনের ধরপাকড়ের জেরে দলটির হাল ধরার মতো কোনো নেতা নেই জেলের বাাইরে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পিটিআইয়ের বেশ কিছু বিষয় পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করেছে। গত ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনার জেরে অনেক শীর্ষ নেতাকে নির্বাচনে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দলটি ভেঙে গেছে এখন। এগিয়ে নেয়ার মতো নেতৃত্ব নেই।

উলেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছিল জোট সরকার। গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান। শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে হয় নতুন জোট সরকার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply