প্রিয়জনদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন হাওয়াইয়ের বাসিন্দারা। দাবানলের ধ্বংসলীলা কমলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের সন্ধান দিতে ফ্যামিলি রিসোর্স সেন্টার খোলা হয়েছে। শেল্টারহোমগুলোতে আশ্রয় নেয়াদের তথ্য স্বজনদের কাছে সরবরাহ করছে এই সেন্টার। কেউ কেউ এর মাধ্যমে আপনজনদের খুঁজে পেলেও এখনও অনেকেই জানেন না, প্রিয়জন বেঁচে আছে কিনা। খবর রয়টার্সের।
তিনদিন ধরে, স্বজনদের খোঁজে একের পর এক আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরেছেন মাউই দ্বীপের বাসিন্দা জুন ল্যাকুয়েস্টা। নিখোঁজদের খুঁজে পেতে সম্ভব সব চেষ্টাই করছেন, সামাজিক মাধ্যমেও ছবি পোস্ট করে চেয়েছেন সহায়তা। ৯ স্বজন হারিয়ে এখন দিশেহারা এই ব্যক্তি।
তিনি বলেন, আমার অনুভূতি এখন কী সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। লাহাইনার দিকে যখন তাকাই তখনকার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। আমি এখন আমার আত্মীয় কুইজানো, কলোমা ও ভিলেগাস পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পেতে চাই। তিনদিন ধরে তাদের সবাই খুঁজছে।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে, দাবানলের ভয়াবহতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, সাজানো গোছানো হাওয়াইয়ের ঐতিহাসিক নগরী লাহাইনা। প্রকৃতি এতটা আগ্রাসী হবে, তা আঁচ করতে পারেনি বাসিন্দারাও। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বেড়েছে প্রাণহানি। দাবানল থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের। এখনও নিখোঁজ হাজারের কাছাকাছি। তাদের সন্ধান পেতে স্বজনদের সাহায্যের লক্ষ্যে খোলা হয়েছে ফ্যামিলি রিসোর্স সেন্টার।
সৌভাগ্যবান কেউ কেউ এই ফ্যামিলি রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে এরইমধ্যে পেয়েছেন প্রিয়জনদের নিরাপদে থাকার খবর। দেখা না পেলেও আপনজনরা অন্তত বেঁচে আছে এই খবর তৃপ্তি দিচ্ছে তাদের।
তাদেরই একজন এড গেজমেন। তিনি বলেন, আমরা এখনও সেখানে যেতে পারিনি। আমি আমার ভাই গ্লেন এবং ভাইয়ের স্ত্রীকে খুঁজছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, তাদের দেখা না পেলেও সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তারা নিরাপদ আছে।
হাওয়াইয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই দুর্যোগে এখনও বিভিন্ন স্থানে জ্বলছে আগুন। ধ্বংস হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোয় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। মরদেহের সারি আরও দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা কর্তৃপক্ষের।
এটিএম/
Leave a reply