বুলিং-র‍্যাগিং প্রতিরোধ: নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

|

বুলিং-র‍্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীতিমালায় উল্লিখিত নিদের্শনাগুলো ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ছাত্রীদের কাউন্সিলিং করার বিষয়টিও রয়েছে। বুলিং ও র‍্যাগিংয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, অ্যাডহক কমিটি, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের কোনো সভাপতি-সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারী আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২০১৮ সালের দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে অপমান করে বের করে দেয়ার পর নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে অরিত্রি। এরপরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে একটি সুয়োমোটো রুল ইস্যু করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং-র‍্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালা বা গাইড লাইন তৈরি করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী এই কমিটি একটি নীতিমালা খসড়া করে ২০১৯ সালে আদালতে দাখিল করে। এরপর নীতিমালা কয়েক দফা সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন-বিয়োজন করা হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply