ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে জোরালো রুশ হামলা, শতাধিক ভবন বিধ্বস্ত

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। তাদের মূল টার্গেট- পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লভিভ ও আশপাশের এলাকা। এরইমধ্যে লুতস্কে গোলার আঘাতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে তিন জনের। মুহু্মূর্হু হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক ভবন। রাশিয়ার অভিযান জোরদারের মধ্যেই ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত দুইটার দিকে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে গোটা ইউক্রেনেই। টানা দুই ঘণ্টা শোনা যায় সাইরেনের আওয়াজ। হামলা চালানো হয় একাধিক ফ্রন্টলাইনে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর সবচেয়ে বড় হামলা হলো লভিভে। পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী শহরটিতে মিসাইল আর গোলাবর্ষণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভোলিন। সেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর।

এ প্রসঙ্গে লভিভের মেয়র অ্যান্ড্রি সাদোভি বলেন, দুই ঘণ্টা আগেও এখানে শিশুদের একটি প্লেগ্রাউন্ড ছিল। সরাসরি রকেট আঘাত হানে সেখানে। পেছনের ভবনের উপরের তলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে বেঁচে থাকা সত্যিই খুব কঠিন। সারাক্ষণ গোলাবর্ষণ হচ্ছে।এ পরিস্থিতিতে রেডক্রসের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইউক্রেনের মানববিহীন নৌকা তৈরির কারখানায়ও হামলার দাবি করেছে রাশিয়া। বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনের হামলা প্রতিহতের দাবিও করেছে ক্রেমলিন।

এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, ইউক্রেনের মানববিহীন নৌকা তৈরির কারখানা ও গুদামে রাতভর হামলা চালিয়ে সবগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার কমান্ড পোস্ট ও অস্ত্রাগারে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। কেএ-৫২ এলিগেটরসহ ১৬টি মিসাইল ভূপাতিতের দাবিও করেছে তারা। সোমবার দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।

প্রসঙ্গত, ফ্রন্টলাইনে চলমান এমন উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনকে আরও ২শ’ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে থাকবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ আরও অনেক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply