সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে কক্সবাজার-চট্টগ্রামে সংঘর্ষ

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

এরমধ্যে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ফোরকান উদ্দিন (৫৬) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আর পুলিশসহ আহত হয়েছেন জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। নিহত ফোরকান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আবদুল বারীপাড়ার বাসিন্দা।

বিকেলে চকরিয়ার বায়তুশ শরফ সড়কে সাঈদীর গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে, বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতার্মীরা। অনুমতি না থাকায় মসজিদের দুইটি ফটকই বন্ধ করে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে ধাওয়া দেয় পুলিশ।

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। চলে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। এ সময় সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

গত রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওইদিনই রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় সাঈদীকে। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা যান।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে, ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী। পরে একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply