রাশিয়ার প্রধান মিত্র বেলারুশের সাথে টান টান উত্তেজনার মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তা দেখালো পোল্যান্ড। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মহড়া চালায় ন্যাটোভুক্ত দেশটি। এ সময় ১০০ এয়ারক্রাফট, ২০০ সামরিক যানসহ অত্যাধুনিক ট্যাংক ও সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। পেশিশক্তি দেখায় পোল্যান্ড ও ন্যাটো জোটের অন্যান্য দেশের ২ হাজার সেনা। খবর রয়টার্সের।
মূলত, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ওয়ারশ’ যুদ্ধ জয়ের ১০৩তম বার্ষিকীতেই এই সামরিক শক্তিমত্তার জানান দিলো পোল্যান্ড। ১৯২০ সালের এই দিনে রেড আর্মিদের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল পোলিশ সেনারা। বলশেভিকদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করেছিল তারা। বর্তমানে সীমান্তে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরেকবার প্রতিরক্ষায় সক্ষমতা তুলে ধরলো ন্যাটোভুক্ত দেশটি।
এ দিন রাজধানীর রাজপথে প্রদর্শন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস ট্যাংক, হাইমার্স মোবাইল আর্টিলারি সিস্টেমস ও প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেমস। এছাড়া এফ-সিক্সটিন ফাইটার প্লেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এফএ-ফিফটি ফাইটার্স ও কে নাইন হ-ইটজারও ছিল।
এই সামরিক অভিযানে আকাশে গর্জন তুলে টহল দেয় মার্কিন এয়ারফোর্সের এফ থার্টি ফাইভ। যা ইঙ্গিত দিলো এই অত্যাধুনিক ফাইটার প্লেন যুক্ত হচ্ছে বহরে।
এ বিষয়ে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্ল্যাসজাক বলেন, কেবল ওয়ারশ’ যুদ্ধে বিজয়ী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয়, দিনটি মাতৃভূমি রক্ষাকারী বর্তমান সেনাদের ধন্যবাদ জানানোর জন্যও। আমাদের শক্তিমত্তা দেখানোর উপযুক্ত দিন। আমরা শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করেছি, যারা সীমান্ত সুরক্ষা দিতে পারে।
পোল্যান্ডের বহরে রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার সেনা। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে ট্যাংক, মিসাইল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ফাইটার জেট কিনতে ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে দেশটির সরকার। চলতি বছরও প্রতিরক্ষা বাজেট ধরা হয়েছে রেকর্ড ৩৪ বিলিয়ন ডলার।
রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের পাশাপাশি মস্কোর মিত্র বেলারুশ সীমান্তবর্তী হওয়ায়, ইউক্রনে পুতিন বাহিনীর আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে পোল্যান্ড। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, বেলারুশে অবস্থানরত রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে পোলিশ সীমান্তের দিকে। সব মিলিয়ে চরমে পৌঁছেছে উত্তেজনা। এরই জেরে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড। দেশটিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে ন্যাটোও।
এসজেড/
Leave a reply