পাশাপাশি বাসা থেকে নিখোঁজ দুই কিশোর; একজনের মরদেহ উদ্ধার

|

রাজধানী থেকে একই সঙ্গে নিখোঁজ দুই কিশোরের একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিশোরের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। তবে এখনও হদিস মেলেনি আরেক কিশোরের। নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের সন্দেহ, পাশাপাশি ভাড়া থাকা কামরুলই অপহরন করেছে দুইজনকে। তাদের উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ করেছে কিশোরের পরিবার।

চট্রগ্রাম রেলস্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১৪ বছরের নিখোঁজ নুরন্নবীকে। ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর ধলপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরের দিন নুরন্নবীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন দেয়া হয় পরিবারের কাছে। মুক্তিপণ দাবিকারীদের কাছে স্বজনরা নুরন্নবীর ভিডিও চায়। সিসি ফুটেজে দেখায় যায় একজন নুরন্নবীর ভিডিও করছে। সেই ভিডিওটিই নুরন্নবীর স্বজনদের কাছে পাঠানো হয়। সেই ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে ২৪ আগস্ট চট্টগ্রামে রওয়ানা দেয় স্বজনরা। খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি নুরন্নবীর।

পরে পাঁচলাইশ এলাকা থেকে নুরন্নবীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারে কাছে। সেখান ঢাকায় নিয়ে আসা হয় নুরন্নবীর মরদেহ।

একই সঙ্গে নিখোঁজ হয় ষোল বছরের হোসেন। বাসাও পাশাপাশি। মা আর বোন হোসেনের সন্ধানে যাত্রবাড়ি থানায় সাধারন ডায়েরীও করেছেন। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ফুটেজ দেখেছেন তারাও। তাদের সন্দেহ দুই কিশোরের অপহরনের সাথে জড়িত পাশের বাসার ভাড়াটিয়া কামরুল।

একই সঙ্গে দুই কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে নুরন্নবীকে মরতে হতো না। হোসেনকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিও তাদের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply