‘ট্যাক্সিডার্মি’র কাজ করে আলোচিত তিউনিশিয়ার আব্দেসসালেম

|

জীবন্ত প্রাণীর মতো দেখতে প্রাণীর প্রতিরূপ। ছবি: রয়টার্স

পশু-পাখি পোষেন, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। দিন-রাত সঙ্গ দেয়া এসব প্রাণীর ওপর মায়াও জন্মে যায় মালিকের। যারা সারাজীবনের জন্য প্রিয় পোষা প্রাণীটিকে কাছে রাখতে চান, তাদের জন্য খোলা আছে ‘ট্যাক্সিডার্মি’র পথ। তিউনিসিয়ায় কয়েক যুগ ধরে টাক্সিডার্মি বানানোর এই কাজটিই করছেন আব্দেসসালেম। খবর রয়টার্সের।

ট্যাক্সিডার্মি মূলত যেকোনো প্রাণীর চামড়া সংরক্ষণ করে সেই প্রাণীর নিখুঁত রূপ দেয়ার পদ্ধতি। যারা এই শিল্পে পারদর্শী, তাদের বলা হয় ট্যাক্সিডার্মিস্ট। তিউনিসিয়ায় কয়েক যুগ ধরেই ট্যাক্সিডার্মিস্ট হিসেবে কাজ করছেন আব্দেসসালাম। প্রিয় পোষ্য হারিয়ে শোকগ্রস্ত যারা, তাদের অনেকেই আসেন তার কাছ থেকে ট্যাক্সিডার্মি বানাতে।

তিউনিসিয়া ট্যাক্সিডার্মিস্ট আব্দেসসালেম ট্রাবেলসি বলেন, খাবার খাওয়া, পানি পান করার মতো এই কাজও আমার জীবনের অংশ। এটি করতে করতেই আমি বেড়ে উঠেছি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, প্রাণীর চামড়া নিয়ে এভাবে কাজ করার এতো শক্তি আমি কোথায় পাই? তাদের জন্য আমার একটাই উত্তর- আমি সবই পারি।

খুব বেশি প্রচলিত না হওয়ায় এই পেশা নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষের কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয় ৬১ বছর বয়সী আব্দেসসালেমকে। এসব প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে অন্যদের আদরের পোষ্যের স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ট্রাবেলসি বলেন, এই শিল্পকে মানুষ এখনও পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেনি। এর সম্পর্কে বেশির ভাগেরই ধারণা নেই। সৌদি আরব থেকে শরীয়াহ আইন নিয়ে লেখাপড়া করছেন এমন একজন আমার কাছে এসেছিল। তার দাবি, আমার এ কাজ হারাম। কিন্তু আমি তো পূজা করার উদ্দেশ্যে এগুলো বানাচ্ছি না।

উল্লেখ্য, ট্যাক্সিডার্মি বানাতে বেশ চড়া মূল্য দিতে হয়। একেকটি প্রাণীর প্রতিরূপ বানাতে ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন এই শিল্পী।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply