আলমগীর স্বপন:
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবার ভারতের ভূমিকা কি বদলাতে পারে? এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে। সম্প্রতি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দেশটি ঘুরে আসা এই রাজনীতিবিদ প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ভারত সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির অবস্থান এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেছেন, তারা আমাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে মনে হলো। আমাকে এককভাবে ডেকে নিয়ে গেলো এবং দলের সম্পর্কে ভালো কথা বলা হলো। দলকে ভালোভাবে তৈরি করার জন্য উৎসাহ এবং ভালো ভবিষ্যৎ আছে বলা— তাতে মনে হচ্ছে তাদের কাছে অবশ্যই আমরা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নেবো, দেশ-জাতি ও দলের জন্য যেটা ভালো হয়। যেন সুষ্ঠু ও একটা ভালো নির্বাচন হয়।
কেবল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি নয়; সামনে বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলোর নেতারাও ভারতে আমন্ত্রিত হতে পারেন বলে জানালেন জাপা চেয়ারম্যান। বললেন, বিজেপি বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করতে চাচ্ছে। তাদের ওখানে জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে। ১০ তারিখের পর দলটির নেতাদের ব্যস্ততা কমবে। তখন সম্ভব হলে বৈঠক করার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব নেতাদের ডাকবেন তরা। তারা বলেছে, কান্ট্রি টু কান্ট্রির চেয়ে বেশি আমরা পিপল টু পিপল ফ্রেন্ডশিপ করতে চাই।
এদিকে, দলীয় সরকারের অধীনে ’১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল জাতীয় পার্টি। এবার একতরফা নির্বাচন নিয়ে দলে ভিন্ন মত আছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদের। বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে জাতীয় পার্টিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। দুইটি ধারা আছে; একটি পক্ষ মনে করছে, নির্বাচনে গেলে সাধারণ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া হবে। আরেক পক্ষ মনে করছে, নির্বাচনে যেতে হবে, সংসদে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অধিকাংশরা যা চাইবে এবং তখনকার পরিস্থিতিতে যেটা করা উচিত, তা করা হবে।
তিনি এ-ও জানিয়েছেন, তার দল জোটগত নাকি এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত ৩শ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা।
আন্দোলনের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা চাপ বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। বললেন, নির্বাচনের আগে যদি তারা কিছু অ্যাকশনে যান এবং সেটি কেমন হবে, এর ওপর নির্ভর করবে কার অবস্থান কী হবে।
সামনে রাজনৈতিক সংকট বাড়লে জাতীয় পার্টির প্রধানকে ঘিরে জাতীয় সরকার গঠনের গুঞ্জন চলছে কিছুদিন ধরে। এমন খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জিএম কাদের। বলেন, এগুলো গুজব হিসেবেই দেখছি। এখন পর্যন্ত এটাকে বিশ্বাসযোগ্য কিছু মনে হচ্ছে না। মানুষ অনেক কথা বলে… এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ কিছু বলেনি।
/এমএন
Leave a reply