অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ‘বদলি’ লাবুশেন

|

জয়ের নায়ক মারনাস লাবুশেন। ছবি: এএফপি

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্লুমফন্টেইনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ২২৩ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ১১৩ রান তুলতেই অজিদের ৭ উইকেট হাওয়া। এই অবস্থা থেকে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন ৯৩ বলে অপরাজিত ৮০ রান করা মারনাস লাবুশেন। এতে ৫ ওডিআই সিরিজে অজিরা এগিয়ে গেল ১-০ তে।

অথচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে তার খেলারই কথা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ছিলেন না লাবুশেন। তবে বদলি খেলোয়াড়ের তালিকায় তার নাম ছিল। অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের মাথায় বল লাগলে তার ‘কানকাশন সাব’ হিসেবে লাবুশেন যখন ক্রিজে আসেন, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ৭২। স্কোরবোর্ডে আর ৪১ রান উঠতে আরও দুজন সঙ্গীকে হারান লাবুশেন। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগারকে নিয়ে শুরু করেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার লড়াই। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১১২ রানের জুটি। অ্যাগার অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ৪৮ রান করে। লাবুশেন খেলেন ৯৩ বলে ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস। এই জুটি মনে করিয়ে দিচ্ছিল ২৯ বছর আগের এক জুটিকে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অজিদের হয়ে অষ্টম উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন পল রেইফেল ও শেন ওয়ার্ন। তবে সেদিন ম্যাচটা জিততে পারেনি ক্যাঙ্গারুরা। ২৬ রানে হার মানতে হয়েছিল।

এর আগে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে একা টেনেছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। প্রোটিয়ারা যে ২২২ রান তুলেছে, এর অর্ধেকের বেশি রান বাভুমার। ১৪২ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছয়ে ১১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই ইনিংসের সুবাদে অসাধারণ এক কীর্তি গড়লেন বাভুমা। ওয়ানডেতে ইতিহাসের ১৩তম এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আদ্যন্ত ব্যাটিং করেছেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন। কিন্তু শেষ হাসি হাসার পর্যাপ্ত রসদ ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply