মাদরাসা শিক্ষকের নির্যাতনে অসুস্থ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে পায়ে পচন ধরে যাওয়া মাদরাসা ছাত্র মো. নাহিদ মোল্লাকে (১২) বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাহিদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোরআনের হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বছর দেড়েক আগে তার ছেলেকে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি করান তিনি।
কোরবানী ঈদের কয়েকদিন আগে শিক্ষক আল আমিন তার ছেলের ডান পায়ে বেত্রাঘাত করে। কিন্তু ছেলে ভয়ে তখন তাকে কিছুই জানায়নি। বেত্রাঘাতের কারণে তার ডান পা ফুলে যায়। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পায়ে পচন ধরে। এরপর গত ৩০ আগষ্ট মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নাহিদকে। সেখানে দুই দফা তার পচন ধরা অংশ থেকে মাংস কেটে ফেলা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে রোববার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাহিদের।

নাহিদের বাবা বলেন, শিক্ষক নির্দয়ভাবে আমার ছেলেটাকে বেত্রাঘাত করেছে। বহু চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারলাম না। মৃত্যুর আগে একাধিকবার তার ছেলে শিক্ষককে কিছু না বলতে নিষেধ করে গেছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক মোসাদ্দেক জানান, ছেলেটা মারা গেছে শুনেছি। তবে মারধরের কারণে নাকি অন্যকোন কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলতে পারছি না। তারপরও যেহেতু শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে এ জন্য তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিত্য কুমার রায় বলেন, শিশুটি মারা যাওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী চেয়েছিলেন ময়নাতদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু ময়নাতদন্ত এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে তার বাবা কোনোভাবেই রাজি হননি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply