মুরগি ও ডিমের চড়া দামের কারণেই আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এসব পণ্যের বাড়তি দরের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। তবে নভেম্বরের মধ্যেই জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলে দাবি পরিকল্পনা বিভাগের।
এক যুগের মধ্যে আগস্টে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে বাংলাদেশ। ১০০ টাকার পণ্য কিনতে সাড়ে ১২ টাকা বেশি গুণেছে নাগরিকরা। অথচ বাজারে পণ্যের কমতি নেই। রোদ, বৃষ্টি, ডলার, যুদ্ধ এমন নানা উপলক্ষ্যের দোহাই দিয়ে নিত্যপণ্যের দর বাড়িয়ে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একনেক বৈঠক এই ইস্যুতে সরগরম। তার আগে, ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ-ডিজেএফবি’র প্রকাশনা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রকল্পে অর্থের অপচয় কমানোর নির্দেশ তিনি। জানান, জলবায়ু তহবিলের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল পেয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সাথে বৈঠকের পর মিলেছে গ্রিন সিগন্যাল।
পরে ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ফীতির ব্যাখ্যা দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আগস্টে দাম বাড়ার মূল নায়ক ছিল মুরগি ও ডিম উভয়ই। উভয়ের মূল্য এতো বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, স্বয়ংক্রিয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়।
এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, তারা বসে নেই। তবে হুট করে ব্যাংকের সুদহার বাড়লে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে বিপদে পড়তে হবে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, টাকা ছাপিয়ে প্রকল্পের অর্থের যোগান দিচ্ছে না সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুদের হার বাড়লে, বিনিয়োগ কমে আসে। ফলে টাকার খরচ বেড়ে যায়।
একনেক সভায় ১৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
/এআই
Leave a reply