১৯৫২ থেকে ২০২২, সিলন থেকে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ক্রিকেটের সব অর্জনের ঠিকানা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট মিউজিয়াম। যেখানে থরে থরে সাজানো লঙ্কানদের ক্রিকেট ইতিহাসের গল্প। ৯৬ বিশ্বকাপসহ মোট ১৫০টি ট্রফি আছে এখানে। আছে টেস্ট ক্রিকেটের ‘হল অফ ফেম’। ৬টি ভিন্ন ডিজাইনের এশিয়া কাপের ট্রফির পাশাপাশি ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফিরও দেখা মিলবে এখানে।
এক কথায়, লঙ্কান ক্রিকেটের আদর্শলিপি থেকে শুরু করে মহাকাব্য, গোটা ইতিহাসের সংগ্রহশালা এই জাদুঘর। জাদুঘরে ঢুকতেই দেয়ালে লাগানো বোর্ডে লেখা পুরো ইতিহাস। কোন্ সালে কী হয়েছে, তার ছোট্ট রোডম্যাপ দেয়া এখানে। ডান পাশে কাঁচের বড় বাক্সে রাখা বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ট্রফি।
শ্রীলঙ্কার পাঁচটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। তার মধ্যে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়াম ও পি. সারা ওভাল রয়েছে তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাবের অধীনে। বাকি তিনটির নিয়ন্ত্রণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
সামনের কক্ষ থেকে ভেতরে পা ফেলতেই দেখা মেলে ছয় ধরনের ছয়টি এশিয়া কাপ ট্রফির। ১৯৮৬ সালে প্রথমবার শ্রীলঙ্কা জেতে জন প্লেয়ার এশিয়া কাপ গোল্ড লিফ ট্রফি। আর শেষটি ছিল গত বছর। এই ট্রফির আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। কারণ, চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এই শিরোপা জয় গোটা জাতিকে করেছিল উজ্জীবিত। মজার বিষয় হলো, এশিয়া কাপের সবগুলো ট্রফি ছিল ভিন্ন ধরনের।
এশিয়া কাপ ট্রফির সারির পেছনেই আছে টেস্ট কর্নার। হল অফ ফেম জুড়ে খোদাই করা আছে লঙ্কান জার্সিতে টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের নাম। আরেক ধাপ ভেতরে দেখা মেলে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্জন ২০১৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটসহ প্রায় ৫০০ ট্রফি আছে লঙ্কানদের। এই মিউজিয়ামে আছে দেড়শ ট্রফি। বাকিগুলো আছে বোর্ডে। তবে এখানে আলাদাভাবে নজর কাড়বে একটা স্কোরবোর্ড। যার উপরে লেখা ‘নাইন্টি সিক্স চ্যাম্পস’।
/এএম
Leave a reply