পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটের নাটকীয় জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

|

এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে উঠে গেলো শ্রীলঙ্কা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটির মীমাংসা হয়েছে শেষ বলে যেখানে আশালাঙ্কার ব্যাটে শেষ হাসি হেসেছে লঙ্কানরা।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছিলো দেরিতে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ৫০ ওভার থেকে ৪৫ ওভারে এবং পরে ৪৫ থেকে ৪২ ওভারে নির্ধারিত হয় খেলা। রেজওয়ানের ৭৩ বলে অপরাজিত ৮৬ এবং ইফতেখারের ৪০ বলে ৪৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৫২ রান তোলে পাকিস্তান।

ডিএলএস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫২ রান। টার্গেটে দারুণ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। উড়ন্ত সুচনা করলেও ৭ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন লঙ্কান ওপেনার কুশাল পেরেরা। পেরেরার পরে শ্রীলঙ্কা দলের হাল ধরেন কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাংকা। ৪৪ বলে ২৯ রানে শাদাবের বলে ক্যাচ আউট হন নিশাঙ্কা।

এরপর চারে নেমে ক্রিজে জমে যান ফর্মে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমা। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি। জমে যায় কুশল এবং সামারাবিক্রমার জুটি। পাক বোলারদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে লঙ্কানদের জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দু’জন।

এরই মধ্যে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন কুশল। সামারাবিক্রমাও ছুটছিলেন সেদিকেই। তবে ফিফটি থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে থামেন সামারাবিক্রমা। ইফতিখার আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৫১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সামারাবিক্রমা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রান আসে ১০০।

এরপরেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল। সাবলীল ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। নিজেও চলে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির অনেক কাছে। 

কিন্তু না! নাটকের আরও বাকি ছিল তখনও। দলের ২১০ রানের মাথায় ইফতিখারের বলে মোহাম্মদ হারিসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান কুশল। আউট হওয়ার আগে ৮৭ বলে ৯১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন কুশল। 


শেষ দিকে ক্রিজে টিকে ছিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পাক বোলাররাও নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ম্যাচ বাঁচানোর। তবে নাটকের বাকি ছিল আরও অনেক। শেষের আগের ওভারে বোলিংয়ে এসে ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচকে আরও বেশি জমিয়ে তোলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। 

একদম শেষ ওভার থেকে ৯ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। জামান খান এসে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন লঙ্কাকে। শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। সেখানে একটি চার মারেন আসালাঙ্কা। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। এবারও দলকে উদ্ধার করেছেন চারিথ আসালাঙ্কা। ২ উইকেটের নাটকীয় জয়ে ফাইনালে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪৭ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন আসালাঙ্কা। 

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ইফতিখার। ৫০ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ২ উইকেট শিকার করেন শাহীন। এছাড়া ১ উইকেট নেন শাদাব খান। 

এই জয়ের ফলে ফাইনালে চলে গেল শ্রীলঙ্কা। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply