ডেঙ্গুর ভুয়া চিকিৎসক রফিক উল্লাহকে নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারণা, জালিয়াতির নানা তথ্য-প্রমাণও পেয়েছে গোয়েন্দারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই ভুয়া চিকিৎসক রফিক উল্লাহকে নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে খবর প্রচারিত হয়। তাতে উঠে আসে, মৃত আরেক চিকিৎসকের বিএমডিসি লাইসেন্স নম্বর ব্যবহার করে নিজ ঘরে বসেই ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে আসছিলেন তিনি। প্রেসক্রিপশনে লেখা তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ৩০৩০। কিন্তু এই নম্বরে আরেক চিকিৎসকের ছবিসহ নাম দেখতে পায় প্রতিবেদক।
সৌদি আরবে চিকিৎসা দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে দাবি করা এই ভুয়া চিকিৎসক ১৬ বছর আগে সৌদি থেকে দেশে ফেরেন। দেশে এসে এক মৃত চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রেসক্রিপশন দিতেন রোগীদের।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় নানা রোগীর চিকিৎসা করা রফিক উল্লাহ এইচএসসির পর আর লেখাপড়াই করেননি। যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে তিনি এমডি ডিগ্রি নিয়েছিলেন বলে যে দাবি করেছিলেন সেটিও ভুয়া। মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট বলে দেখানো সনদেরও কোনো হদিস পায়নি গোয়েন্দা পুলিশ।
সব তথ্য-প্রমাণসহ রফিক উল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত তার সকল ভুয়া সনদ ও প্যাড জব্দ করেছে তারা।
/এমএইচ/এমএন
Leave a reply