‘আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের যদি এমন চিন্তাধারা থাকে তাহলে আমারে পাঠায়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন একেকটা নতুন জিনিস আমাকে ফেস করাবেন, আমি এসব জিনিসে থাকতে চাই না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে এসব কথা বলেছেন বলে দাবি করেছেন তামিম ইকবাল। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ দাবি করেন তিনি। ভিডিও বার্তায় বোর্ডের এই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি দেশসেরা এই ওপেনার। এই কর্মকর্তা সম্পর্কে তামিমের ভাষ্য, তিনি বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, আমাকে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করেন, যিনি ক্রিকেটের সঙ্গে বেশ ইনভল্ব (যুক্ত)। ফোন করে বললেন, তুমি তো ওয়ার্ল্ড কাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। তুমি এক কাজ করো, আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচ খেলো না। তখন আমি বলি, এটা তো এখনও ১২-১৩ দিনের কথা। এর মধ্যে তো আমি ভালো কন্ডিশনে থাকবো। কী কারণে খেলবো না? তখন বললো, আচ্ছা তুমি যদি খেলো আমরা একটা প্ল্যান করছি, আলোচনা করছি, তুমি যদি খেলো তোমাকে আমরা নিচে ব্যাট করাবো।
নিচে ব্যাট করানোর প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন, ন্যাচারালি আপনাদের মনে রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ড সেটআপ থেকে আসতেছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে আবার এসব ধরনের কথা আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করতেছি, জীবনে কোনোদিন ৩-৪ নম্বরে ব্যাটিংই করি নাই। এমন যদি হতো আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি তারপরে উপর-নিচ করে খেলি তাহলে এটি মানিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু তিন-চারে ব্যাট করার মতো আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। স্বাভাবিকভাবেই আমি কথাটা ভালোভাবে নেই নাই। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি বিষয়টি ভালোভাবে নেইনি।
‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করে করে।’
ভিডিও বার্তায় তামিম ইকবাল উল্লেখ করেছেন, তার কাছে মনে হচ্ছে, তাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আর তা ইচ্ছা করে।
বোর্ড কর্মকর্তার কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার পর কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তামিম, সেটিও স্পষ্ট করেছেন ভিডিও বার্তায়। বোর্ডের সে কর্তার সাথে তার সংলাপ ছিল এরকম- আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের যদি এমন চিন্তাধারা থাকে তাহলে আমারে পাঠায়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন একেকটা নতুন জিনিস আমাকে ফেস করাবেন, আমি এসব জিনিসে থাকতে চাই না।
সব বলেও অনেককিছুই যেন বললেন না বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা এই ওপেনার। বলেন, এরপর ওই ব্যক্তির সাথে ফোনে আমার অনেক কথা হয়। যা এই প্ল্যাটফর্মে বলা উচিত বলে আমার মনে হয় না। এটা আমার আর উনার মধ্যেই থাক। আমি খুব শক্তভাবে বলেছি, এমন যদি হয়, আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। দরকার হলে আপনারা আমাকে সিলেক্ট কইরেন না। আমি মানতে পারবো না।
তামিম ইকবাল আরও বলেন, একটা কাহিনি ইনসিডেন্ট হতে পারে, দুইটা কাহিনি মিস–আন্ডারস্ট্যান্ডিং হইতে পারে। কিন্তু একজনের সাথে লাস্ট তিন-চার মাসে সাত-আটটা কাহিনি যদি হয় তাহলে এটা ইনটেনশনাল হয়। দিস ইজ হোয়াট আই ফেল্ট।
/এনকে/এমএন
Leave a reply