১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে পুরো ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে শ্রীলংকা। মূলত এই বিশ্বকাপ থেকেই পাল্টে যায় ক্রিকেটের রুপ।
রঙিন পোশাক, সাদা বল আর দিবারাত্রির ম্যাচ। এ তিনটি কারণে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ক্রিকেটপ্রেমিদের চোখের সামনে এখনও ভেসে ওঠে। সেবার ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে প্রথমবারের মতো তিনটি অধ্যায় যুক্ত হয়। বিশ্বকাপ আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠে এশিয়ায় আয়োজন করায়। ঊনবিংশ শতাব্দির পরিচিত ব্র্যান্ড উইলসের নামেই বিশ্বকাপের নামকরণ হয়েছিল উইলস ওয়ার্ল্ড কাপ।
প্রথমবারের মতো সেবার বিশ্বকাপে অংশ নেয় ১২টি দল। অভিষেক হয় কেনিয়া, নেদারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গত ৫টি আসরের তুলনায় রের্কড করে তিন দেশে মোট ৩৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ৩৬টি ভেন্যুতে। অনিল কুম্বলে সর্ব্বোচ্চ ১৫ উইকেট আর দুই সেঞ্চুরির সাথে শচীন টেন্ডুলকার করেন ৫২৩ রান। তবে দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর সঙ্গে প্রতি ম্যাচে জয়ের ভূমিকা রাখায় জয়সুরিয়া হন টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার।
নিরাপত্তার কারণে এ গ্রুপে কেনিয়ার কাছে সবচেয়ে বড় অঘটনের শিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে ওয়াক ওভার পায় শ্রীলঙ্কা। তাই এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে স্বাগতিকরা। যেখানে শক্তিশালি ইংল্যান্ডের পর ভারতকে চমক দেখিয়ে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নেয় লঙ্কানরা।
ফাইনালের মঞ্চে ফেভারিট মার্ক টেইলরের অস্ট্রেলিয়াকে কান্নার সাগরে ভাসায় অরবিন্দ ডি সিলভার অলরাউন্ড পারফরমেন্স। আর তাতেই ফাইনালে অজিদের হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ভিড়ায় লঙ্কানরা। সেই সাথে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
/এএম
Leave a reply