প্রথমবার বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশের পা দেয়া, লাসিথ মালিঙ্গার চার উইকেট, নবাগত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয়, অবকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা, কোচ বব উলমারের রহস্যজনক মৃত্যুসহ বেশ কিছু কারণে ক্রিকেট সমর্থকদের মনে গেঁথে আছে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপ দিয়েই প্রথম চালু হয় থার্ড আম্পায়ার পদ্ধতি। আবারও বাজিমাত করে অস্ট্রেলিয়া।
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পর্দা ওঠে বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথমবারের মতো চার গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১৬ দল অংশ নেয় বিশ্বকাপে। সেবারই ভারতকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে টপকে ইতিহাস গড়ে সেরা আটে উঠে যায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
এই সুপার এইটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল হাতে রেকর্ড গড়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে চার বলে চার উইকেট শিকার করেন এই লংকান তারকা।
সেবার বিশ্বকাপে চমক ছিল আরও! শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বমঞ্চে যাওয়া পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা আয়ারল্যান্ড। এরপর রহস্যের জন্ম দেয়, পাকিস্তানের হারের ২৪ ঘন্টা না যেতেই হোটেল রুমে পাওয়া দলটির কোচ বব উলমারের মরদেহ। পুলিশ স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করলেও এ নিয়ে সরগরম ছিল ক্রিকেট দুনিয়া।
২০০৭ এর বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশসহ ছিল শ্রীলঙ্কা, ভারত, ও বারমুডা। অপরাজিত থেক গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। আর ভারতকে হারিয়ে চমক দেখিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্ব, শেষ আট থেকে কোয়ার্টার বাধা পেরিয়ে সেমিতে উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। এরপর প্রোটিয়াদের ধরাশায়ী করে অজিরা এবং কিউইদের হারিয়ে লঙ্কানরা উঠে আসে ফাইনালের মঞ্চে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের বিধ্বংসী ১৪৯ রানের ইনিংসে ৫৩ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আগের দুই বিশ্বকাপের মতই হ্যাট্রিক শিরোপা জিতে শক্তিশালী অজিরা।
তবে সেই ফাইনাল নিয়েও ছিল প্রশ্ন। রিজার্ভ ডে না থাকায় বৃষ্টির পর অন্ধকারেই ব্যাট করতে হয়েছিল লঙ্কান ব্যাটারদের। অবশেষে ডিএল মেথডে হার মানতে হয় শ্রীলঙ্কার। আর তাতেই শিরোপা উৎসবে মাতে অজিরা।
/এমএইচ/এটিএম
Leave a reply