আমি মুজিবের কন্যা, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার লোভ নেই: প্রধানমন্ত্রী

|

যুক্তরাজ্যে নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০১ এর নির্বাচনের আগে আমার কাছে প্রস্তাব এসেছিল, গ্যাস বিক্রি করার। গ্যাস বিক্রি করলে ক্ষমতায় থাকতে পারবো। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার লোভ আমার নেই। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিলো না। আর ক্ষমতায় আসলো কে? খালেদা জিয়া, তার সাথে জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার ম্যাথডিস্ট চার্চ হলে নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।

সরকার প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ’৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইনি। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি আমাকে ডেকেছিলেন। বলেছিলেন, আপনি তো সরকার গঠন করতে পারেন। আপনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কীভাবে? আমি যদি জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সমর্থন নিই, তাহলে সরকার গঠন করতে পারবো। আমি বলেছিলাম, দুঃখিত! আমরা যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইনি, এভাবে সরকার গঠন করতে পারি না। আপনি অন্য কাউকে ডাকেন। কারণ, এখানে আমার নীতির প্রশ্ন আছে। ক্ষমতা নিই নাই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপির যে স্বভাবজাত চরিত্র, ক্ষমতায় এসেই মামলা, হামলা, অত্যাচার, জেল, জুলুম, নির্যাতন, লুট, দুর্নীতি শুরু করে। তারপর ক্ষমতায় থাকার জন্য ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা নির্বাচন করলো। পুরো নির্বাচনে কোনো দলই অংশগ্রহণ করেনি। ২ শতাংশ ভোটও পড়েছে কি না… ঘোষণা দিয়ে দিলো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। আর সে নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করে সংসদে জাতির পিতার হত্যাকারী খুনি রশিদ ও খুনি হুদাকে বিরোধী দলের চেয়ারে বসালো খালেদা জিয়া। তাদের যে মানসিকতা, হত্যার সঙ্গে জড়িত, তা কতভাবে প্রমাণিত হয়।

বাংলাদেশের মানুষ ভোটচোরদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট চুরির অপরাধে দেড় মাসের মাথায় ’৯৬ সালের ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াকে হটিয়ে দেয় জনগণ। এরপর নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি। তখন মানুষ উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক হয়, জনগণের জন্য কাজ করে। কিন্তু ২০০১-এ? আবার চক্রান্তের শিকার হই।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply