ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে গাজীপুর-ফরিদপুরে, হাসপাতালে মিলছে না বেড

|

আখলাকুস সাফা:

গত সপ্তাহে ডেঙ্গুতে প্রাণ যাওয়াদের ৫৬ শতাংশই মারা গেছেন হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য থেকে এ হিসেব করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জেলায় জেলায় ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে যেন জ্যামিতিক হারে। আগের সপ্তাহে যে জেলা রেড জোন, পরের সপ্তাহেই তার আশপাশের অন্তত ২ জেলা চিহ্নিত হচ্ছে ডেঙ্গুর ভীষণ সংক্রমিত এলাকা হিসেবে।

২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর দিনে ১শ’রও বেশি রোগী পাওয়া গেছে ফরিদপুরে। আগের সপ্তাহে এমনটা ছিল মাদারীপুরে। ওসব এলাকায় এখনও গুরুত্ব পাচ্ছে না মশা নিধন বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একজন জানান, এখানে চিকিৎসা নেয়া তো দূরের কথা, উল্টো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে হবে। হাসপাতালের পাশে ডাবের খোসার স্তুপ দেখালেন তিনি। আরেকজন বলেন, বেড পাওয়া যাচ্ছে না। বেড ফিলআপ হয়ে গেছে। মাটিতেও রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতা শেষ। রোগীদের জায়গা হচ্ছে মেঝেতে। এই হারে রোগী বাড়তে থাকলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বলে জানান চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও গণেশ কুমার আগারওয়ালা বলেন, যদি আরও ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী হসপিটালে আসেন, আমরা হয়তো তাদেরকে ওষুধপত্রসহ অন্যান্য জিনিস দিতে পারব। কিন্তু তার বেশি হলে আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব হবে না।

একই পরিমাণ রোগী ভর্তি আছে গাজীপুরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সেখানেও তৈরি হতে যাচ্ছে বেড সংকট। এসবই হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের থেকে নেয়া তথ্য। বাস্তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, প্রথম দিকে হাসপাতালে ভিড় হয়ে যেতো, সবকিছু অগোছালো ছিল। কিন্তু তখনকার চেয়ে এখন মৃত্যুটা বেশি। যদি প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় স্তর অনুযায়ী ভাগ করে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সেবা দেয়া যেতো, তাহলে আমরা মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমাতে পারতাম।

গ্রাম থেকে শুরু করে উপজেলা-জেলা স্তরে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে আসল চিত্রটা বেরিয়ে আসবে বলে মত আইইডিসিআরের সাবেক এই উপদেষ্টার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply