শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর সদর উপজেলার মিরগী নদীতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে ৭টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা। এছাড়া, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিও।
মূলত বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের এই শাখা নদীতে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেই সাথে দু’পাড়ে ভাঙনও তীব্র হয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে কড়ইতলা-নন্দীর বাজার সড়কের প্রায় ১শ’ মিটার অংশ বিলীনের পথে। ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যান চলাচল।
নদী ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশেপাশের আরও ফসলি জমি ও ক্ষেত-খামার বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, এর আগে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্থানীয়রাই মাটি ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন, তবে তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদী ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করে জনভোগান্তি দূর করা হবে, এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
/এএস /এএম
Leave a reply