বাকি ছয় ম্যাচের প্রতিটিই জেতা সম্ভব: মোস্তাফিজ

|

চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচেও ব্যর্থ সাকিব-মোস্তাফিজরা। ২৪৬ রানের টার্গেট দিয়ে কিউইদের মাত্র দুই উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। যদিও কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পেছনে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতাই ছিল মূল কারণ।

ইংলিশদের পর কিউইদের কাছেও হারায় বিশ্বকাপে বিপাকে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে এখনও হাতে আছে ছয় ম্যাচ। টাইগার পেসার মোস্তাফিজ বলছেন, এর সবগুলোই জেতা সম্ভব। তার মতে, ব্যাটিংয়ে ৩০ রান কম হওয়ায় ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের লিগ পর্বে বাংলাদেশের বাকি ম্যাচগুলোর প্রতিপক্ষ শক্তিশালীই বলা চলে। এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অসম্ভব কিছু নয়। আমরাতো ছয় ম্যাচের ছয়টাই জিততে পারি। বেশি আফসোস করলে হবে না, আমরা ভালো করার সুযোগ খুঁজছি। সবাই মিলে কথা বলছিলাম, কী করলে ভালো করতে পারি। আমরা পেসাররা শুরুতে ভালো করেছিলাম। যদি আরও ৩০ রান বেশি হতো, তাহলে মনে হয় আরও বেশি সুযোগ থাকতো।

কিউইদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর আবারো সমালোচনার মুখে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। দলের কে কোথায় ব্যাটিং করতে নামবে তা যেন এক গোলকধাঁধার নাম। ব্যাটিং অর্ডারে এত পরিবর্তন কেন? ম্যাচ শেষে নাজমুল শান্তকে তাই সম্মুখীন হতে হলো এমন প্রশ্নের।

নাজমুল শান্তের জবাব, এটার পেছনের কারণ ক্যাপ্টেন-কোচ আরও স্পষ্ট করে বলতে পারবে। আমি দলের জন্য যেকোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত। চার নম্বরেও রান করেছি, এমন না একদমই করিনি। দুই ইনিংস হয়নি। আমি খুশি, যে পজিশনেই ব্যাট করতে বলবে আমি করবো। একটু তো মানিয়ে নেয়াই লাগে। আমার মনে হয় যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য সবাইকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হয়। এটা বলব না যে হঠাৎ করে হয়। সবাই জানে কে কোথায় নামবে।

তবে যে যেখানেই ব্যাটিং করতে নামুক না কেন, বাংলাদেশের ব্যাটিংটা যে একেবারেই ভালো হচ্ছে না, তা স্বীকার করলেন শান্ত। তবে তার বিশ্বাস এখান থেকেও কামব্যাক করা সম্ভব। শান্ত বলছেন ব্যাটিংটা করতে হবে দায়িত্ব নিয়েই।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply